সতর্কতামূলক কোনো চিহ্ন বা সাইনবোর্ড ছাড়াই এক কিলোমিটারে ১০ টি স্পিডব্রেকার



মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের রেলগেইট এলাকা থেকে কাউতলী মোড় পর্যন্ত নতুন ৭ টি স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে। এর ফলে এই এক কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তাটিতে স্পিডব্রেকারের সংখ্যা হল ১০টি। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা অপচয়ে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সরেজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারী কলেজের সামনের রাস্তাটিতে দেয়া হয়েছে তিনটি করে দু দফায় ছয়টি ব্রেকার, এর থেকে একটু সামনে এগিয়ে ডাকবাংলোর মোড়ে দেয়া হয়েছে আরও একটি, এর আগে খ্রীষ্টিয়ান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুটি এবং কাউতলী মোড়ে দুটি দেয়া হলেও পরে একটি তুলে ফেলা হয়। কালো পিচের রাস্তায় স্পিডব্রেকারের সামনে সতর্কতামূলক কোনো চিহ্ন বা সাইনবোর্ড থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ও ছিনতাই বাড়ায় যাত্রী ও জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। রাতের বেলা তা হয়ে উঠে আরো বিপদ জনক। অন্য দিকে অপচয় হচ্ছে রাষ্ট্রের মূল্যবান সম্পদ বিদ্যুৎ। ইজিবাইক চালক কালাম মিয়া বলেন, আগের থেকে খ্যাপ অনেক কম মারতার পারি। সবডি লাইন(স্পিড ব্রেকার) পার অইলে অনেক চার্জ এমনেই নষ্ট অয়। কলেজ পাড়ার একাধিক বাসিন্দা জানান, কলেজের সামনে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটেনি। কি কারণে এ ভাবে স্পিড ব্রেকার দিয়ে এখানে যানযট সৃষ্টি করা হচ্ছে তা তাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। সড়ক ও জনপথের (সওজ) সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, জেলা সমন্বয় কমিটি থেকে নির্দেশনা পেয়ে আমরা নতুন এ স্পিড ব্রেকার গুলো বসিয়েছি। সরকারি কলেজের সামনে এক সাথে ছয়টি স্পিড ব্রেকার বসানোর ব্যপারে তিনি বলেন, এ গুলো স্পিড ব্রেকার নয়, রেম্বল ব্রেকার। আমরা জরুরী কাজের বেলায় এ গুলো ব্যবহার করে থাকি। |