Main Menu

মতিউর রহমান ও শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

+100%-


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক ও সুধী সমাজ প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন। এশিয়ান টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, মানব জমিনের নিজস্ব প্রতিবেদক জাবেদ রহিম, সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুন নূর, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহসভাপতি আলামিন শাহীন, গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মফিজুর রহমান, এনটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক শিহাব উদ্দিন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্টার পার্টির সদস্য কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা যুবমৈত্রীর আহবায়ক আইনজীবী নাসির মিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি ইব্রাহীম খান, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুবেল আহমেদ, দৈনিক আজকালের খবরের জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন, ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত, কলেজ শিক্ষক অভিজিৎ রায়, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপিত ফাহিম মুনতাসির, বন্ধুসভার ইকবাল হোসেন, শাজাহান মিয়া, সবুজ
মোল্লা প্রমুখ। মানববন্ধনে বিভিন্ন সুশীল শ্রেণির লোকজন অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিককে আটক করে দেশ চলতে পারে না, গণতন্ত্র টিকতে পারে না।সাংবাদিকদের টার্গেট করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং সংখ্যালঘুদের আটকের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার হচ্ছে। দেশে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সাংবাদিক শামসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল মামলার
কোনো প্রাইমেসি নেই। বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে লিখতে পারে সেটি দেখলেই বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র আছে কি নেই। বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন উল্লেখ করে বাতিলের দাবি জানান। বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এই বাস্তব সত্যকে পাশ কাটানোর সুযোগ নেই।প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনে দিনমজুরের বক্তব্যটি সঠিক ছিল। কিন্তু একটি মহল এটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে।

বক্তারা বলেন, রাতের আঁধারে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া হলো। এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বারবার মামলা করে গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সর্বশেষ প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হলো। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বাক্‌স্বাধীনতা নিশ্চিতে অবিলম্বে সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার, সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে ও বিতর্কিত ডিজিটাল
নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। গত বুধবার ভোর চারটার দিকে সাভারের বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে প্রথম আলোর
সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেওয়া হয়। এর পৌনে দুই ঘণ্টা আগে তেজগাঁও থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলা হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর রমনা থানায় একই আইনে আরেকটি মামলা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে। শামসুজ্জামানও এ মামলার আসামি।






Shares