Main Menu

মানুষকে উদ্বুদ্ধ করণসহ নিজেকে নিরাপদ করতে টিকা নিয়েছি: জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। উদ্বোধনী টিকাটি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন। জেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিকে টিকাগ্রহণের জন্য রোববার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল পর্যন্ত তিন হাজার ১৭ জনের নিবন্ধন করেছেন।

টিকাগ্রহণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র কার্যকর উপায় হচ্ছে এই টিকা। টিকা নিয়ে নিজেকে নিরাপদ করাই আমার নাগরিক দায়িত্ব। প্রথমে টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ হলো-অন্যরা যেন বুঝতে পারেন এই টিকা গ্রহণ করে উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে। এই টিকার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অন্য কোনো সমস্যা হয়না।তিনি আরও বলেন, এই টিকা যথেষ্ঠ নিরাপদ এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পরে। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণসহ নিজেকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য আমি টিকা নিয়েছি।
জেলা প্রশাসকের পরে টিকা গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সিভিল সার্জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ।
টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন ও জেলা পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এক লাখ আট হাজার ডোজ করোনার টিকা এসে পৌঁছায়। প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে জেলার নয়টি টিকাদান কেন্দ্রে ৫৪ হাজার ১০০ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে।






Shares