Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ দিনে ১১২জন করোনা আক্রান্ত, হতে পারে আবারও লকডাউন

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হুহু করে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মাত্র ৫ দিনে জেলায় ১১২জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবার ঢাকা থেকে আসা ১৮৮ জনের রিপোর্টে ৩৭ জন আক্রান্ত রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৩।

এত অধিক সংখ্যক লোক করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর জেলা করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটি কি ভাবছে? তা নিয়ে কথা হয় সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ একরাম উল্লাহর সাথে।

তিনি জানান, তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রয়োজনে আবারো লকডাউন করা হতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে। ঈদের সময়ে অনেক স্যাম্পল একসাথে পাঠানো হয়। সেগুলোর ফলাফল এখন আসছে। তবে বেশি সংখ্যক লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াকে নেগেটিভের পাশাপাশি পজিটিভলিও দেখছেন তিনি ।

তার মতে “অধিক সংখ্যক লোক আক্রান্ত হলেও জেলায় মৃত্যুর হার অনেক কম, ফলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরীর সম্ভাবনা রয়েছে। যা মহামারী নিয়ন্ত্রণে প্রধান ভূমিকা রাখবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঝুঁকিপূর্ণ জেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত জেলায় বাস্তবায়নকৃত সরকারের সিদ্ধান্ত সমূহতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্তোষজনক অবস্থা বিরাজ করলেও আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই।

আইসোলেশন এর ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্ন ছিল, ” প্রথমদিকে যারা করোনা আক্রান্ত হতো তাদের বাড়িঘর লকডাউন করে দেয়া হতো, বর্তমানে তা করা হচ্ছে কিনা ?

এ প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন জানান, পুরো বিশ্বের মতো তাদের জন্যও ভাইরাসটি নতুন। ফলে ক্ষণে ক্ষণে এর প্রতিরোধে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। করোনা আক্রান্তদের সকলকেই আইসোলেশন সেন্টারে আনা হচ্ছে না। যাদের উপসর্গ এবং ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছেন তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আনা হচ্ছে বাকিদের হোম বা সেল্ফ আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পুষ্টিকর খাবার ও পরিমিত বিশ্রামগ্রহণ করে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭২ জন সুস্থ হয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে সকলেই তাদের নজরদারিতে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০০ স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনের এসেছে ৪০০০ এরও অধিক। প্রতিদিন নতুন করে গড়ে ১০০ জনের স্যাম্পল পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।






Shares