Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত আখাউড়ায়, নারায়ণগঞ্জ থেকেই সংক্রমিত বেশি

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে জেলার আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ২৮ জন।এ ছাড়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে একজন ও ঢাকায় একজন আইসোলেশনে রয়েছেন। ৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ২ জন মারা গেছেন।

তবে আক্রান্তের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে জেলার আখাউড়া উপজেলা। এখানে আক্রান্ত জেলার সর্বোচ্চ ১৪ জন। নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা ইপিজিড থেকে এসে স্বজনরা এসে এসব ব্যাক্তিকে সংক্রমিত করেছেন । তাছাড়া জেলার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে কর্মরত এক চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার পর তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও আক্রান্ত হন। তবে তাদের অনেকেই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন। বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন। একজন মৃত্যু বরণ করেছেন।

এরপরের অবস্থানে রয়েছে বিজয়নগর উপজেলা। এর মধ্যে প্রথম আক্রান্ত হন নারায়নগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যাক্তি। এরপরে বিজয়নগর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতালের কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মচারী আক্রান্ত হন। বিজয়নগরে মোট আক্রান্ত ৯ জন। তবে একজন চিকিৎসকসহ দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নাসিরনগর। সেখানে এক প্রবাসীর মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন। মারা যাওয়া সেই প্রবাসীর স্ত্রী, কন্যা শিশু, ভাইয়েরা আক্রান্ত হয়েছেন। সবশেষ নাসিরনগর হাসপাতালের একজন অপারেশন থিয়েটার সহকারী (ওটিবয়) আক্রান্ত হয়েছে। মোট আক্রান্ত ৭ জন।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাঞ্ছারামপুর। সেখান থেকে নারায়নগঞ্জে চিকিৎসা নিতে গিয়ে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন দু্ই জন। এছাড়াও কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ হওয়ায় আরো তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্ত ৫।

এরপরের অবস্থানে রয়েছে নবীনগর। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই জন। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তবে অন্যজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এছাড়া জেলা সদরে এক পুরুষ এবং সরাইল উপজেলায় একজন নারী আক্রান্ত হয়েছেন। তারাও নারায়ণগঞ্জ থেকে সংক্রমিত হয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে জেলা সদরের চিনাইর গ্রামের সেই বাসিন্দা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোট এক হাজার ২০২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ৮৭৭ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন দুইজন, ঢাকায় ও বাঞ্ছারামপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুইজন। ইতোমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন সাতজন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮ জন। তাদের অবস্থাও আগের চেয়ে ভাল। তারা মানসিকভাবেও ভাল রয়েছেন।

এছাড়াও জেলায় হোম কোয়োরেন্টিনে ২৬ হাজার ২৭৫ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ৭৬ জন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।






Shares