Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম ধাপে আসছে ১২ হাজার করোনার টিকা, লাগবে অনলাইন নিবন্ধন

+100%-

করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া এবং সংরক্ষণের জন্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে যথা সময়ে টিকা পেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগামী সপ্তাহেই করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে এই টিকা করোনা যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনারদের দেওয়া হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিভাগের নার্স, চিকিৎসকসহ সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী, বেসরকারি ক্লিনিকের কর্মকর্তা-কর্মচারী,মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক আধাসামরিক বাহিনী, সম্মুখ সারির গণমাধ্যমের কর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিনিধিগণ, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অগ্রাধিকার পাবেন।

আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রথম ধাপে ১২ হাজার টিকা আসার কথা রয়েছে। পরে পর্যায় ক্রমে ধাপে ধাপে আরও টিকার চালান আসবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন। টিকা নেয়া এবং টিকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে চিকিৎসক ও টিকাদানকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলেও জানা গেছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮শ’ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৪৫ জন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলায় সরকারিভাবে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই জেলায় ১২ হাজার ডোজ টিকা এসে পৌঁছাবে। এরপর সেগুলো কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে। জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে টিকা দেওয়া হবে। টিকা প্রদানের জন্য চিকিৎসক ও টিকাদানকর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। আর টিকাদানের জন্য জেলা সদরে আটটি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে দুইজন করে টিকাদানকর্মী (নার্স) ও চারজন করে রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া টিকা রাখা হবে শহরের মেড্ডা ইপিআই কার্যক্রমের কোল্ড স্টোরেজ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে । সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই’র ডিপ ফ্রিজে টিকা সংরক্ষণ করা হবে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন,‘টিকা গ্রহণের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে টিকা গ্রহণের সময় ও স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই ফ্রন্টলাইনারদের টিকা প্রদানের মাধ্যমে টিকাদান কর্মক্রম শুরু করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।






Shares