Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালনি এক্সপ্রেস আটকে যাত্রাবিরতি ও নতুন ট্রেন দাবি

+100%-

সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তনগর কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও নতুন একটি আন্তনগর ট্রেন দেয়ার দাবি জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ১নং প্ল্যাটফর্মে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ কর্মসূচিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নানা শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন। এসময় কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি কিছুসময় আটকে প্রতীকি অবরোধ পালন করা হয়। সিলেট থেকে ছেড়ে আাসা ঢাকাগামী কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনটি আটকে দেন অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। পরবর্তীতে নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দদের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা রেললাইন থেকে সরে গেলে ১০ মিনিট পর ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যায়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, জেলা জাসদের সভাপতি আকতার হোসেন সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আবদুন নূর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। দিন দিন যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও সেবার মান বাড়ছে না। যাত্রী সংখ্যার বিপরীতে টিকিট সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। আর কাউন্টার থেকে যে পরিমাণ টিকিট ইস্যু করা হয় তার সিংহভাগ চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। ফলে বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে যাত্রীদের টিকিট মূল্যের দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয় টিকিট। তারা যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন একটি আন্তনগর ট্রেনের দাবি জানান।

এছাড়াও সিলেট-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী আন্তনগর কালনি এক্সপ্রেস ও বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের দাবি জানান বক্তারা। এর ব্যত্যয় হলে জেলার সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।






Shares