Main Menu

হেফাজতের তান্ডব ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশে বক্তাগণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আর কখনো হেফাজতকে তান্ডব চালাতে দেওয়া হবে না

+100%-

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজত কর্তৃক নারকীয় তান্ডব চালানো ও নিলজ্জ্ব মিথ্যাচারের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তাগণ বলেন, হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তান্ডব ও ধ্বংসলীলা চালানো তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। যারা বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করেন তারা এখন হেফাজতের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে। মিথ্যা এবং বানোয়াট বক্তব্য, প্রচারণা তাদের মূল হাতিয়ার। মিথ্যাবাদী হেফাজতে রাজনৈতিকভাবে সর্বাত্মক প্রতিরোধ করতে হবে। বক্তাগণ, হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আর হেফাজতিদের আর অন্যায় ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে দেওয়া হবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতারা যে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে তার প্রতিবাদ জানান এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান বক্তাগণ।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক আব্দুল খালেক বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি রুমেল আল ফয়সল, আবু নাসের সজরুল হক সুজন, নাজমুল হাসান সোহরাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পার্থ, সহ সম্পাদক এডঃ আক্কাস আলী, সদস্য আব্দুল জব্বার মামুন, সদর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ কে এম মফিজুল হক ভ্ইূয়া মামুন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভূইয়া শিপু, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক এড. কামরুজ্জামান অপু, যুগ্ম আহবায়ক এড. আরিফুল ইসলাম, বিজয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সুনির্মল সাহা, সরাইল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, নবীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্যতম নেতা ওমর ফারুক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, গত ২৬ মার্চ দেশবাসী যখন মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছিলো ওইদিন বিকেল তিনটার পর থেকেই সম্পূর্ন বিনা উস্কানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তান্ডব চালায় হেফাজত সমর্থিত মাদরাসার ছাত্ররা। তাদের তান্ডব চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। ওইদিন তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের ম্যুরাল, কাউতলী জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, সার্কিট হাউজ, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস ও শহরের সর্বত্র বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড ভাংচুর করে শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সাথে জামাত-বিএনপির নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ নিয়ে শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
হামলাকারীরা পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে চলমান দু’দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মেয়রের বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাড়ি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের শ্বশুর বাড়ি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, সদর ভূমি অফিস, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন ও টি.এ.রোডে থাকা বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।
হামলা ও ভাংচুর করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়, পুলিশ লাইন্স, বিজিএফসিএলের কার্যালয়, সরকারি গণগ্রন্থাগার, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, শহরের হালদারপাড়ায় অবস্থিত বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন, ব্যাংক এশিয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
সমাবেশে বক্তারা হেফাজতের তান্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি-বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তান্ডবের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন ও অবিলম্বে মিথ্যাচারের জন্য হেফাজত নেতাদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।






Shares