Main Menu

বিএনপির নেতা-কর্মীরা পদ্মা সেতুতে উঠবেন না: শাজাহান খান

+100%-

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শাজাহান খান এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে আমরা আমাদের নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করছি। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বিএনপির ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করেছিল। তাদের সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শেখ হাসিনা আজ পদ্মা সেতু করেছেন। আগামী বছরের মধ্যে আমরা পদ্মা সেতু পার হবো। তবে আমি বিএনপির নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানাবো, তাদের নেত্রীর ওপর বিশ্বাস রেখে তারা যেন এই সেতু পার না হয়।

এ প্রসঙ্গে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘আপনি খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এই পদ্মা সেতু আমরা করতে পারবো না। আরও হাস্যকরভাবে দেশের জনগণের উদ্দেশে বলেছিলেন,‘পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে। এই সেতু পার হবেন না, ভেঙে পড়বে।’ আপনি খালেদা জিয়া আরও কিছু দিন বেঁচে থাকুন। এরপর আপনি যেদিন পার হবেন, আমরা সেদিন জিজ্ঞাসা করবো, আপনি আপনার ওয়াদা রক্ষা করছেন না কেন?’’

তিনি বলেন, সেদিন দেশবাসী বিএনপির নেত্রীর কথা বিশ্বাস করেননি। কারণ পদ্মা সেতু আজ বাস্তব। এ মাসেই পুরো সেতু দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। তাই এখন বিএনপির নেতা-কর্মীরা পারলে তাদের নেত্রীর কথা রক্ষা করুন। আপনারা এই সেতুতে উঠবেন না।

মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান।

তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশেও অনেক ভাস্কর্য আছে। আজকে আলেমরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করছেন। তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য আছে। ঢাকায় ২৯ নং মিন্টু রোডে খালেদা জিয়া যখন সেখানে ছিলেন সেই বাড়িতে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য আছে। তখন কেউ জিহাদ ঘোষণা করলেন না কেন? অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যখন স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয় তখন তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করছেন আপনারা! আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। আমি আলেমদের কাছে জানতে চাই তারা যে ওয়াজ করেন তখন কি কখনও বলছেন যে, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে মিলে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল? আমরা জানি, এই কথা কোনও আলেম বলেন নাই, প্রতিবাদও করেন নাই।’

এসময় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য আছে ও থাকবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।

সমাবেশে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন,‘আজকে আলেমরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, সকল প্রকার ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এই ভাস্কর্য হচ্ছে বাঙালি বা পুরো বিশ্বের সংস্কৃতির অঙ্গ। এটাকে যদি ধ্বংস করা যায় তাহলে মানব ইতিহাসে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে ধ্বংস করা যাবে। সেই চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে মনগড়া ইসলামকে দিয়ে তারা এটাকে সামনে নিয়ে আসে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। সমাবেশে জেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জয় বাংলা স্লোগানে সভাস্থল মুখরিত করে তোলেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা।






Shares