Main Menu

নাসিরনগরে মন্দিরে হামলা: জনপ্রতিনিধি, আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ ২২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে তান্ডবের ঘটনায় দায়ের করা ৮টি মামলার মধ্যে একটি মামলার চার্জশিট প্রস্তুত হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টরের কাছে এ চার্জশিট তুলে দেয়া হয়। চার্জশিটে কিছুটা ত্রুটি থাকায় এবং ব্রিফ তৈরি করতে বিলম্ব হওয়ায় আজ আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া যায়নি। তবে দু-এক দিনের মধ্যেই আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর জানান, মামলার দীর্ঘ তদন্তে আওয়ামী লীগ, বিএনপি নেতা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তান্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া ৮টি মামলার মধ্যে গৌর মন্দিরে হামলার ঘটনার মামলাটির তদন্ত শেষ হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিলের সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

তিনি আরো জানান, গৌর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় এ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা নং-২২ । মামলার তদন্ত করেন নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শওকত আলী। দীর্ঘ প্রায় এক বছরের বেশি সময় তদন্তের পর তিনি মামলার অভিযোগপত্র তৈরি করেন। এতে ২শ’ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক মো. আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম চকদার, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মো. জামাল, হরিপুর গ্রামের কাপ্তান মিয়া, বিল্লাল হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে আবুল হাসেম ও আব্দুল হান্নান ছাড়া বাকিরা গ্রেফতার হয়ে আবার জামিনে বেরিয়ে আসেন।

প্রসঙ্গত, নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামে জেলে পরিবারের এক যুবক ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর ছবি পোস্ট করেছে অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর তাকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় একদল যুবক। ৩০ অক্টোবর এলাকায় মাইকিং করে নাসিরনগর উপজেলা সদরে পৃথক দুইটি প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করা হয়। ওইসব সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। সমাবেশে অংশগ্রনকারিরা নাসিরনগর সদরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ১৫টি মন্দির এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় মোট ৮টি মামলা দায়ের করা হয়।বাকী সাতটি মামলার তদন্ত এখনো চলছে।






Shares