Main Menu

নাসিরনগরে বিএনপি নেতাকে ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন দিতে আওয়ামীলীগের সুপারিশ

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোঃ আজহারুল হক নামে এক বিএনপি নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দিতে কেন্দ্রে সুপারিশ করেছে আওয়ামীলীগ। আাজহারুল বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত নাসিরনগর উপজেলা কমিটির ৬৮ নম্বর সদস্য এবং গত নির্বাচনে ৪ নং গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী। তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে পদাসীন রয়েছেন।

ওই ইউনিয়ের চেয়ারম্যান পদের জন্য বাছাইকৃত ৫ জনের যে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, তাতে আজহারের নাম প্রথমে রয়েছে। এদিকে, বিএনপির পদধারী নেতাকে মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে আজহার বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছে উল্লেখ করে তৃণমূলের সিদ্ধান্তে তার নাম দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আওয়ামীলীগ।

নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ বাহার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তিনি অনেকদিন আগেই বিএনপির পদ ছেড়ে দিয়েছেন। বিগত নির্বাচনে জয় লাভ করার পর থেকেই তিনি বিএনপির সাথে নেই। গত ৩ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগের প্রোগ্রামে তিনি থাকেন। তবে তার কোন দলীয় পদ-পদবী নেই । দলীয় নেতাকর্মী থাকতে বহিরাগতকে কেন প্রথম স্থানে রাখা হল এমন প্রশ্নের জবাবে বাহার জানান, তৃণমূলের পাঠানো তালিকা আমরা শুধু মূল্যায়ন করেছি মাত্র।তবে কোন ভোট ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে তালিকা করা হয়েছে বলেও বাহার জানান।

নাসিরনগর উপেজলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, আজহারুল হক আমাদের উপজেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গোয়ালনগর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনে বিদ্রোহী হয়ে জয়ী হওয়ার পর থেকে সুবিধা পাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের সাথে উঠাবসা করছে।

এ বিষয়ে মোঃ আজহারুল হক বলেন, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কমিটি আমার নামের বিষয়টি আমি অবগত না।

এদিকে, এ ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সূর্য দেব মন্তব্য করেছেন, কি হবে এসবের প্রতিবাদ করে,, এখন যাঁরা বি এন পি করে তাঁরা আমাদের নেতা কর্মীর কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ,,, তুমি আমি তো জাস্ট কর্মী এবং এতিম কর্মী।।।।
Shahadat Hossain লিখেছেন , এই সব বলে কোনো লাভ নাই? বর্তমানে টাকা যার রাজনীতি তার।

মজলিশ মিয়া লিভেছেন, বাড়ির মালিক দুর্বল হইলে এমন ই হয়।

Md Babul Bhuiyan লিখেছেন, এখানে যারা ফ্রম জমা দিয়ে বাছাই কৃত করা হয়েছে তাদের দেখতে হবে অন্তত 2008 সালের আওয়ামী লীগ কি না ,আগে 2008 এর আওয়ামী লীগ হতে হবে তার পর ফ্রম জমা দিতে হবে ,আর নাসিরনগর এর রাজনীতি হল টাকা ,যার টাকা আছে সেই রাজনীতি করতে পারবে ,ত্যগী বলে কোন লাভ নাই

নাসিরনগরের সাংসদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের কাছে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট নন উল্লেখ করে, জেলা-উপজেলা আওয়ামীলীগের সাথে যোগাযোগ করেত বলেন।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, গত ১৫ আগষ্টের প্রোগ্রামে আমি তাকে বক্তব্য দিতে দেখেছি। সে আমাদের মিটিং মিছিলে থাকে। যদি কোন অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।






Shares