Main Menu

“দৈনিক দিনদর্পণ” পরিবারের আয়োজনে সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট হুমায়ূন কবির এর স্মরণসভা বৃহস্পতিবার

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গনমানুষের নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপমন্ত্রী ও দৈনিক দিনদর্পণ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক এডভোকেট হুমায়ূন কবির এর স্মরণে আজ ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের জেলরোডস্থ সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে “দৈনিক দিনদর্পণ” পরিবারের আয়োজনে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে আমন্ত্রিত অতিথিদের যথাসময়ে ও যথাস্থানে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন দৈনিক দিনদর্পণ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা।
উল্লেখ্য, এডভোকেট হুমায়ুন কবির গত ২৭ অক্টোবর, রোববার সকাল পৌনে ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এক নজরে এড. হুমায়ুন কবিরের বর্ণাঢ্য জীবন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মরহুম বজলুর রহমান ও মরহুম ওকিলুন্নেসা গর্ভে ১৯৫২ সালের ২ ফেব্র“য়ারী জন্ম করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এডভোকেট হুমায়ুন কবীর। তাঁর দুই ছেলে এনায়েত কবির বাবু ও একান্ত কবির এবং একমাত্র মেয়ে এলিন কবির। তাঁর স্ত্রী নায়ার কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দিনদর্পণ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক।
শিক্ষা জীবন: তিনি ১৯৬৮ সালে অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ১৯৭০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি, সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৮১ কুমিল্লা ‘ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন: তিনি ১৯৬৮ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৬৯-৭০ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজের কলেজ ছাত্র সংসদে জয় বাংলা প্যানেলে ভিপি নির্বাচিত হন, ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধু ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহন করেন, ১৯৭৭ সনে পৌর নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে ১ম বার নির্বাচিত হন, ১৯৭৮ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ১৯৮৪ সনে ২য় বার পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন, ১৯৮৬ সনে ৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ সনে ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন, ১৯৮৭ হতে ১৯৮৯ সনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৯ সনে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হন, একেইসাথে ১২/১০/১৯৮৮ হতে ০২/১১/১৯৮৯ সনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করেন এবং ১৯৮৮-৮৯ সনে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট চেয়ারম্যান এর দায়িত্বপালন করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, ১৯৮৬ সালের ৩য় জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সর্ব প্রথম বঙ্গবন্ধু”র হত্যার বিচার দাবী করেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের হত্যাকান্ড বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে তাৎক্ষনিকভাবে মিছিল বের করেন এবং শহরে লিফলেট বিতরণ করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজ-১৯৯৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ-১৯৮৪, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ-২০০৫, গৌতমপাড়া ঘাটুরা বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়-১৯৮২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল-১৯৮২, হুমায়ুন কবির বিদ্যা নিকেতন-১৯৮৭, তোফায়েল আজম কিন্ডার গার্টেন-১৯৮৮, হুমায়ূন কবির পৌর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়-১৯৮৮, সেজামুড়া এইচ কে রেজি প্রাথমিক বিদ্যালয়-১৯৮৭, হুমায়ূন কবির পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়-১৯৯৪, পলিকমল প্রি-ক্যাডেট স্কুল-১৯৯৫, ফ্যাসিলিটিজ প্রকৌশলী অধিদপ্তর এর তত্ত্বাবধানে সাতবর্গ উচ্চ বিদ্যালয়-২০০১, সূর্যমুখী কিন্ডার গাটেন-১৯৯০, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সচেঞ্জ সরাসরি ডায়ালিং পদ্ধতির শুভ উদ্বোধন করেন-১৯৮৭, পৌর কর্মী আবাস-১৯৭৮, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব-১৯৯২, এছাড়া নাম না জানা আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।






Shares