Main Menu

জেলা পরিষদের নতুন লীজ, গোকর্ণঘাট-রসুলপুরে বাড়বে যানযট ও জনদূর্ভোগ

+100%-

গোকর্ণঘাটে সার্জেন্ট মজিবুর রহমান সেতু চালু হওয়ার পর সেতুটি এবং রসুলপুরের হাওর ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ভরা বর্ষার রূপ দেখতে আশপাশের জেলা থেকেও ভ্রমণপিপাসু মানুষ এখানে আসে। উৎসব-পার্বনে প্রকৃতি ও বিনোদন প্রেমিদের ঢল নামে সেখানে। কিন্তু সড়ক সরু হওয়ায় যানযট সৃষ্টি হয়ে দর্শনার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও ভোগান্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও নবীনগর উপজেলার দুটি সড়কের মিলনস্থল এটি। দিনে দিনে যাত্রী বাড়ায় স্বাভাবিক অবস্থাতেই সেখানে যানযট দেখা দেয়। শ্রীঘ্রই নবীনগরের সাথে কৃষ্ণনগর হয়ে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হচ্ছে। অস্থায়ীভাবে ফেরি দিয়ে সড়ক যোগাযোগ চালু হচ্ছে, স্থায়ী ব্রীজের কাজও চলমান রয়েছে। ফলে যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে।

এরমধ্যেই সার্জেন্ট মজিবুর রহমান সেতুর সংযোগ সড়ক ঘেষে বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরীর জন্য ভূমি লীজ দিয়েছে জেলা পরিষদ। ইতিমধ্যে স্থাপনা তৈরীর কাজও চলছে সেখানে। ফলে দূর্ভোগ আরো বাড়বে বলে আশংকা স্থানীয়দের।

এদিকে, ভূমি লীজ দেয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১২ দাগের যে ভূমিটি লীজ দেয়া হয়েছে তা খালের অংশ। সার্জেন্ট মজিবুর রহমান সেতু করার কারণে সেখানে ভূমিটির সৃষ্টি হয়। ৭০ফুট দৈর্ঘ্যের এ ভূমিটি ২০৬১/২০৬১ দাগের মালিকানাধীন ব্যক্তিদের ভূমির সামনে অবস্থিত। লীজের নীতিমালা অনুযায়ী লীজি ভূমির পেছনের মালিকরা লীজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। কিন্ত এখানে লীজের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।

২০৬১/২০৬১ দাগের ভূমির মালিক সাফায়েত উল্লাহ জানান, তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার দোকানের সামনের এ জায়গাটি সেতুর কাজের পর দৃশ্যমান হলে তিনি তা লীজ পেতে বারবার জেলা পরিষদ বরাবর আবেদর করেন। তার আবেদনে সাড়া না দিয়ে জনৈক ব্যাক্তিকে অযৌক্তিকভাবে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির আশপাশে কোন ভূমি বা স্বত্ব নেই। লীজ পাওয়ার পর সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ চলছে। ফলে তার ব্যবসায়িক মালামাল পরিবহনে অসুবিধা ও এলাকায় তীব্র যানযট দেখা দিবে। তিনি জায়গাটি তাকে বরাদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে জনস্বার্থে আমি জায়গাটি খালি রাখিব।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসি বলেন, জায়গাটি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তবে জনস্বার্থে যেকোন সময় আমরা লীজ বাতিলও করতে পারব। জনভোগান্তি হয় এমন কিছু জেলা পরিষদ করবেনা। ভবিষ্যতে নবীনগর-বাঞ্ছারামপুর এলাকার জনগণের জন্য সেখানে টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।






Shares