Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে ৩ মাসে পাঁচবার গুলি বিএসএফের, নিহত ৩, আহত ৪

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে তিন মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে পাঁচবার গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এসব ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত, তিনজন আহত ও এক ভারতীয় নাগরিক আহত হন। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে জেলার কসবা উপজেলার শ্যামপুর সীমান্তে গুলির ঘটনায় দুজন আহত হন। আহতরা হলেন শ্যামপুর এলাকার শের আলীর ছেলে মো. রবিউল ইসলাম ও একই এলাকার মো. আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. আজাদ হোসেন (২৬)।

একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় ছয় ব্যক্তি ভারত সীমান্তের দেড় শ গজের বেশি ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিএসএফের গুলিতে দুজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

জেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা তিন উপজেলা কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর সীমান্তে লোকজন দেখলেই গুলি করছে কিংবা ধরে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে বিএসএফ।
তিন মাসের ব্যবধানে ওই সব সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে প্রাণ গেছে তিন বাংলাদেশি যুবকের। আহত হয়েছেন এক ভারতীয়সহ চার বাংলাদেশি।

গত রবিবার রাতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গেছে মো. সাকিব নামের ১৮-১৯ বছর বয়সী এক যুবকের। সে সময় সুজন বর্মণ নামের এক ভারতীয় নাগরিকও গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গত ৮ এপ্রিল বিজয়নগরের সেজামুড়া সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হয়ে মুরাদুর রহমান মুন্না (৩৬) নামের এক ব্যক্তি মারা যান। গত ১ মার্চ জেলার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে আল-আমীন নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। ইটনা সীমান্তে ২৫ এপ্রিল আসাদুল ইসলাম (২৮) নামের এক বাংলাদেশি গুলিতে আহত হন।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর বলেন, ‘কেউ যদি অপরাধী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা তাঁরা নিতে পারেন। সেটা না করে নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান জানান, বিএসএফের প্রতিটি গুলির ঘটনা নিয়ে তাদের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা হয়। কিভাবে কী ঘটেছে সেগুলো জানার চেষ্টা করা হয়।






Shares