প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ:: অবৈধ নয়, বৈধ গ্যাস সংযোগ স্থাপনকালে বাধা দেয় ইউনুছ মিয়ার লোকজন
গত ১৩ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত “ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে বাধা দেয়ায় তান্ডব” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক নয়। ওই পত্রিকার রিপোর্টে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উল্লেখ করা হলেও মূলত এটি ছিল বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃক অনুমোদিত বৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদানের কাজ। ওই কাজে লুকোচুরির কোন ঘটনা ছিল না।
মূলত ঘাটুরা এলাকার জনৈক রই খানের বাড়িতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃক অনুমোদিত মেসার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এন্টারপ্রাইজের লোকজন গ্যাস সংযোগ স্থাপনের কাজ করছিল। এ কাজের বিপরীতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড চাহিদা পত্র, ব্যাংকের জমা রশিদ, বিল আদায়ের ফরম ও খসড়া নকশা (রোড ম্যাপ) দেয়। এসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
প্রকৃত ঘটনা হলো, গত ১১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় ঘাটুরা গ্রামে রই খানের বাড়িতে গ্যাস সংযোগ স্থাপন কাজ করার সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা ও বিজিএফসিএল’র কর্মচারি ইউনুছ মিয়া অন্যায়ভাবে বাধা দেয়। কোম্পানি কর্তৃক গ্যাস সংযোগ দেয়ার বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তিনি এভাবে বাধা দিতে পারেন না। অনধিকারবশত তিনি বাধা দিয়েছেন বলেই সেদিন দুপক্ষের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে।
পত্রিকার রিপোর্টে বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুরের যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তাও সত্য নয়। মূলত ইউনুছ মিয়ার সাথে রই খান ও তার ভায়রা ফরিদ মিয়ার পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। আর শত্রুতা থাকাতেই আক্রোশবশত ইউনুছ মিয়া গ্যাস সংযোগের কাজে বাধা দেয়। কিছুদিন আগেও এ দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সেসময় ভাংচুর করা দোকানপাটকেই সোমবারের ঘটনায় ভাংচুর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা ছিল ভুল তথ্য। ইউনুছ মিয়ার জবানীতে রিপোর্ট প্রকাশ করা হলেও এতে রই খান কিংবা আমাদের কারও কোন বক্তব্য নেয়া হয়নি। মূলত আমি সেখানে গ্যাস সংযোগ কাজের উদ্দেশ্যেই যাই। যার বাড়ি থেকে (ইউনুছ মিয়া) গ্যাস সংযোগ নেয়া হচ্ছিল আর যিনি সংযোগ গ্রহীতা, এই দুই পক্ষের মধ্যেই মূলত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কোন পক্ষের সঙ্গেই আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তাই রিপোর্টে আমাকে দায়ি করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং সেদিন সংঘর্ষের সময় আমার কাছ থেকে নগদ টাকা ও আইফোন-৬ মডেলের মোবাইল লুট করা হয়েছে।প্রেস রিলিজ