Main Menu

জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় চুরি ছিনতাই, মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার নেতারা, এ্যাকশনের দাবি

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক পৌঁছে গেছে হাতে হাতে। চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে অহরহ। রোববার আইনশৃঙ্খলা সভায় জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসব অপরাধের ঘটনা তুলে ধরে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার অনুরোধ করেন। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শংকর কুমার বিশ্বাস। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ। সভায় জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী বলেন, গত ৫ই আগস্টের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকের কারবার বিশাল আকার ধারণ করেছে। মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এনজিও প্রতিনিধি এসএম শাহিন বলেন, চুরি-ছিনতাই ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আখাউড়ায় এক হিসাব কর্মকর্তার বাসায় দিনে দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মোবাইল চুরি হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রা বলেন, আগে গাঁজা-ফেন্সিডিল আসতো। এখন ইয়াবা। জেলা জামায়াতের আমীর মোবারক হোসাইন আকন্দ বলেন, মাসিক রিপোর্টে দেখলাম, চাঁদাবাজি, ডাকাতি-চুরির ঘটনা নেই। একদম শূন্য। আমরা এতো নিরাপদ হয়ে গেলাম! জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, থানায় চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের কোনো মামলা নেয়া হয় না। কয়েকদিন আগে শহরের পুনিয়াউটে কাশবনে ঘুরতে গিয়ে ছেলেমেয়েরা নাজুক অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে। তাদের শরীরে কাপড় রাখেনি। এই অবস্থা হলে কোথায় ঘুরতে যাবে ছেলেমেয়েরা। ৫ তারিখের পর থেকে টোটাল বাংলাদেশে মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়ি। কিন্তু প্রশাসনের গাছাড়া ভাব। আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও তারা দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করতে চায় না।
এসব বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি হিসেবে সভায় অংশগ্রহণকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ছিনতাই, চাঁদাবাজির ঘটনা যে ঘটছে না তা নয়। এদের বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশনেও যাচ্ছি। মাদকের কথা যদি বলেন-ডিলারদের ধরছি না তা নয়। বড় বড় মাদক ব্যবসায়ী আনটাচ কেউ আছে মনে হয় না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হওয়া সভায় আরও নানা বিষয়ে কথা বলেন, এনসিপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান লিটন, সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল ইসলাম, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া এবং বিজিবি ও র‌্যাবের কর্মকর্তারা। সভার সভাপতি স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, সবাই মিলে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সর্বোচ্চ ভালো রাখার চেষ্টা করবো।






Shares