Main Menu

মেয়ের জামাইয়ের নেতৃত্বে শ্বশুর বাড়িতে ডাকাতি॥শ্বশুর নিহত,স্ত্রী আহত॥জামাই গ্রেফতার

+100%-

সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে মেয়ের জামাইয়ের নেতৃত্বে শ্বশুর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদের হামলায় শ্বশুর নিহত ও স্ত্রী আহত হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার পাহাড়িয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য পুলিশ বলছে ডাকাতি নয়,হামলা। হত্যা নয়, হার্টএ্যাটাকে মৃত্যু।

জানা যায়, পাহাড়িয়াকান্দি গ্রামের মাজেদ মিয়ার বড় মেয়ে নারগিসকে বিয়ে করেন একই গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে চুন্নু মিয়া। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। সম্প্রতি মাজেদ মিয়ার ছেলে আলামিন মালয়শিয়া থেকে বাড়ি ফিরে। আলামিনের বিয়ে নিয়ে জামাই চুন্নু মিয়া শ্বশুর বাড়ি গিয়ে শ্যালকদের নতুন করে বিরোধ করে। কয়েকদিন পূর্বে চুন্নু মিয়া শ্যালক আলামিনকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়েও মারধোর করে। মাজেদ মিয়ার পরিবারের লোকজন জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে চুন্নু মিয়া ৬/৭জন সহযোগী সহ ডাকাতির উদ্যেশ্যে মাজেদ মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। তারা ঘরে ঢুকে চুন্নু মিয়ার স্ত্রী নারগিসকে ব্যাপক মারধোর করতে থাকে। এসময় মাজেদ মিয়া মেয়েকে বাঁচাতে আসলে ডাকাতরা মাজেদ মিয়ার উপরও হামলা চালায়। তাদের হামলায় মাজেদ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ডাকাতরা এসময় বাড়ির প্রায় দুই লক্ষ টাকা,স্বর্ণালংকার সহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাঞ্চারামপুর থানা পুলিশ শনিবার সকালে ঘটসাস্থল পরিদর্শন করেন এবং জামাই চুন্ন মিয়াকে পাহাড়িয়াকান্দি থেকেই গ্রেফতার করে।

ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গনি তালুকদার বলেন, মাজেদ মিয়ার মেয়ের জামাই চুন্নু মিয়াই পরিকল্পিত উপায়ে ডাকাতি করিয়েছে।শ্বশুর বাড়ির সাথে জামাইয়ের টাকা-পয়সা নিয়ে বিরোধ চলছিলো।এলাকাবাসী জানায় চুন্নু মিয়া বখাটে প্রকৃতির।বিভিন্ন রকম অপরাধের সাথে তার যুক্ততা রায়েছে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত নারগিসকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।তবে ঘটনার পর থেকেই বাঞ্চারামপুর থানার ওসি অংশুমান দেব সাংবাদিকদের নানা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেন। তিনি ডাকাতির বিষয়টি এড়িয়ে যান।তিনি শেষ পর্যন্ত বলেন,চুন্নু মিয়ার শ্যালকদের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ তৈরী হয়।এ নিয়েই চুন্নু মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালায়।এসময় স্ত্রী আহত হলেও শ্বশুর মাজেদ মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলেই মনে হচ্ছে।






Shares