Main Menu

বাঞ্ছারামপুরে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই বিক্রির অভিযোগ

+100%-

PROTHOM-ALOব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই বিক্রি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপজেলার রূপসদী গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-খাজা আলামীন বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন প্রকাশনীর নোট ও গাইড বই বিক্রি হচ্ছে, যা নিষিদ্ধ। গাইড ও নোট বই বিক্রির সঙ্গে একশ্রেণির অসাধু শিক্ষকও জড়িত বলে আমি শুনেছি। এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নোট ও গাইড বই বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৩৯টি সরকারি প্রাথমিক, ২১টি নিম্ন ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই সব বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী আছে।
বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও শাহ রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, গাইড হিসেবে পপি গাইড কিনতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষকেরা।
অভিভাবক মো. ইদন মিয়া বলেন, ‘স্কুল থেকে আমার বাচ্চারে গাইড কিনতে বলেছে শিক্ষকেরা। আবার দোকানের নামও নাকি বলে দিচ্ছেন তাঁরা (শিক্ষকেরা)। শিক্ষকেরা টাকাপয়সা খেয়ে বাচ্চাদের গাইড বই কিনতে বলছেন।’
মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের অসাধু শিক্ষকেরা প্রকাশনী থেকে টাকা পেয়ে নোট ও গাইড বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করছেন। অসাধু এ শিক্ষকদের লোভের কারণে শিক্ষার্থীরা জিম্মি হয়েছে পড়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
বাঞ্ছারামপুর এসএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লাসের মধ্যে শিক্ষকেরা সহায়ক হিসেবে গাইড কিনতে বলেছেন। টাকাপয়সা নিয়ে কিনতে বলেছেন কি না, তা আমি জানি না। কারণ, টাকাপয়সার লেনদেন আমার হাত দিয়ে হয়নি।’
বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘টাকাপয়সা নিয়ে গাইড বই কিনতে বলার কথা সঠিক নয়। ছাত্রীরা ক্লাসে জানতে চাইলে ভালো হিসেবে পপি গাইডের কথা শ্রেণিকক্ষের শিক্ষকেরা বলতে পারেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তৌহিদ বলেন, ‘আমি তো ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে বলি গাইড বই ব্যবহারই করা যাবে না। এ ব্যাপারে তদন্ত করে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’






Shares