Main Menu

মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ও ইতিহাসের এক অনবদ্য অধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া

+100%-

সৈয়দ মোহাম্মদ আফজল মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের এবং ইতিহাসের অনবদ্য এক অধ্যায় এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রবাহমান স্বাক্ষী তিতাস নদী, কুরুলিয়া খাল আর পিয়ারীপুল।
হিন্দু মুসলিম অধ্যুষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অপারেশন এবং ১৯৭১ সালে ৪ এপ্রিলের পাকিস্তানী হানাদারদের বীভৎস হত্যাকান্ডের কাহীনি এখনো মানুষের মুখে মুখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে এক সময় বলা হতো মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল।
গৌরবের এবং ইতিহাসের অনবদ্য এক অধ্যায় এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল ছিলো ৩ নং সেক্টরের অধীনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের তৎকালীন ভিপি ও প্রয়াত ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর ওসমান ভূইয়া বীর প্রতীকের নেতৃত্বে এ এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এ অঞ্চলের বীর সেনারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তি পাগল ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক সংঘবদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর ওসমানের নেতৃত্বে একটি চৌকস বাহিনী গঠন করে। তাদের বীরত্বগাথার বিভিন্ন কীর্তি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে স্থান করে রেখেছে।
এদের মধ্যে শহীদ অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তৎকালীন এম.এন.এ প্রয়াত এডভোকেট দেওয়ান আবুল আব্বাছ, প্রয়াত সাংসদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩ নং সেক্টরের গেরিলা উপদেষ্টা এডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু, প্রয়াত এডঃ আলী আজম, জাতীয় বীর মরহুম আব্দুল কুদ্দুস মাখন, অধ্যাপক মরহুম একেএম হারুন রশিদ, সাবেক সাংসদ প্রয়াত দিলারা হারুন, প্রয়াত সাংসদ আব্দুল লতিফের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। এলাকায় এ নামগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ইতিহাসের এই সূর্য সন্তানদের স্মরণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খান বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়। তিনি নিজেকে বীরমুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে বলেন, প্রকৃতির অফুরন্ত ভান্ডারের এই দেশের সমৃদ্ধি, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ নির্মাণই হবে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কার্যকর ফলোদয়। চার দশক পরও এই মহান কীর্তি সমভাবে নাড়া দেয় অনূভূতি সম্পন্ন মানুষের মণেপ্রাণে ও বিবেকে। বাঙ্গালির হৃদয়ে জাগায় উদ্দীপনা আর প্রেরণা। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান ও স্মরণে জেলা সদরের ফারুকী পার্কে স্থাপন করা হয়ছে স্মৃতি সৌধ। এ সৌধ আগামী প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাসের বীরদের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে উল্লেখ্য করে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খান বলেন, বিভিন্ন ক্লাব- সমিতির নামের সঙ্গে এ দেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে না জড়িয়ে বরং তাঁর আদর্শের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে অগ্রগামী হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হবে। তার উপর ভিত্তি করেই আমরা এগুতে পারব দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে। এ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আরো সন্মানিত করার কাজ সফল হবে বলে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান আশা প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দীকি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহীনি কর্তৃক বিভৎস হত্যাকান্ডের কাহিনী, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অপারেশন সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাসের বীরদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আগ্রহ বৃদ্ধির আহবান জানান।






Shares