Main Menu

এবার রাজপথে নামছে হেফাজতের ‘লাখো’ নারী

+100%-
ব্লগে ইসলাম ও রাসূল (স.) কে নিয়ে কটাক্ষ করায় দেশব্যাপী শত শত নারী মাদরাসায়ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগগুলো বন্ধ করে নাস্তিক, মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা ব্লাসফেমি আইনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি নিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের লাখ লাখ মুসলিম নারী এবার মাঠে নামছে। এমনটাই নিশ্চিত করেছে হেফাজতে ইসলাম সূত্র।

সূত্র মতে, চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের নারী নেতাকর্মীরা মাঠে নামার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শত শত নারী মাদরাসার ছাত্রীদের সঙ্গে চলছে যোগাযোগও। ওপরের নির্দেশ পেলেই যে কোনো দিন মাঠে নেমে আসবে তারা।

রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে নারীদের অংশ নেয়ার কথা স্বীকারা করে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার চৌধুরী বাংলামেইলকে বলেন, ‘শাহবাগী নাস্তিক মুরতাদদের শেখানো বুলি আউড়াচ্ছে বামপন্থী কতিপয় নারী। তারা গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত নারী শ্রমিকদের উসকে দিয়ে ওলামা-মাশায়েখদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে ষড়যন্ত্র করছে।
এ ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং বিভ্রান্তি দূর করতে এবার স্বতঃস্ফুর্তভাবে হেফাজতের নারীরা রাজপথে নামছে। খুব সহসাই বিভিন্ন দাবিতে নারীরা পর্দার মধ্যে থেকেই ইসলামবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে মাঠ গরম করবে।’

তিনি বলেন, ‘এতে বাধা দিলে দেশের কোটি কোটি তৌহিদী জনতা তাদের সহযোগী শক্তি হিসেবে পাশে থাকবে। ইসলামবিরোধী তৎপরতা বন্ধে সরকারকে বাধ্য করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

মুফতি হারুন বাংলামেইলকে আরও বলেন, ‘ইসলাম নারীদের চার দেয়ালে আবদ্ধ করেনি। ইসলাম নারীর মর্যাদা অন্যান্য ধর্মের চাইতে বেশি দিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রণীত নারীনীতির কিছু ধারা কোরআন-হাদিসবিরোধী বিধায় তা সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে হেফাজতে ইসলামের দেয়া ১৩ দফায়। হেফাজতে ইসলাম কোনো নারীর অধিকার খর্ব করার কোনো দাবি তুলেনি। হেফাজতে ইসলাম বা ইসলাম যে, নারীর শালিন অংশগ্রহণকে সমর্থন করে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতেই আমাদের এ আয়োজন।’

মুফতি হারুন বলেন, ‘নারীদের বিশাল একটি অংশ ইসলাম ও রাসূল (স.) কে অপমান করাকে বরদাস্ত করছে না। তারা দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে নেমে আসতে চাইছে। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে তাদের চূড়ান্ত পরিস্থিতির আলোকে মাঠে নামার কথা বলা হয়েছে। তবে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে নারীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অনেক স্থানে রাজপথে নেমে এসেছিল। এখন কথিত প্রগতিশীল নারীরা যে আস্ফালন করছে সে অবস্থায় কোনো মুসলাম নারী ঘরে বসে থাকতে পারে না। আল্লাহর পথে রাসূলের পথে নেমে আসার এখন সময় এসেছে। এ কারণে নারীরা আজ ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসছে।’

হেফাজতে ইসলামের নেতারা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক মুসলিম নারীদের ইসলামের খেদমতে নিজেদের নিয়োজিত থাকতে দেশব্যাপী সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। নারীদের মাঝে যারা ইসলামী আদর্শ লালন করছে, অথচ মাঠে ময়দানে আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত নয়; তাদের কাজে লাগাতে চায় হেফাজত নেতারা এমনটাই জানালেন মুফতি হারুন।

এ ব্যাপারে হেফাজতের নারীনেত্রী ফাতেমা খাতুন রুনা বাংলামেইলকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়গুলোতে যেভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষী তৎপরতা সংঘটিত হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন। শুধু হেফাজতে ইসলাম কেন? আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক অরাজনৈতিক দলের নারীদের ইসলাম ও রাসূলকে নিয়ে বিষেদাগারকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করা ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ঈমান ও আদিকা রক্ষায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের ইসলামের পথে নাস্তিক ও মুরতাদদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেয়া এখন সময়ের দাবি।’





Shares