Main Menu

কিশোর হারুনকে পায়ু পথে গ্যাস ঢুকিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকাস্থ নাসিরনগর উপজেলা বাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে

+100%-

ndমোঃ আব্দুল হান্নান, ঢাকার মোহাম্মদপুরে মাইক্রোবাস গ্যারেজ কর্মচারী কিশোর হারুন (১১) কে পায়ুপথে মেশিনের সাহায্যে পেটের ভিতর অক্সিজেন ঢুকিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

ঢাকাস্থ নাসিরনগর উপজেলা বাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ নেতা কায়রুজ্জামান (ফারুক)। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সভাপতি এম,এ করিম। নারী নেত্রী এম,বি কানিজ, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম মনির, আবু ছালেহ মোঃ জাহাঙ্গীর সহ আরো অনেকেই।

জানা গেছে ৩১ আগষ্ট ঢাকার মোহাম্মদপুরে গ্যারেজ কর্মচারী কিশোর হারুনকে মালিকের উপস্থিতিতে পায়ু পথে কমপ্রেসার মেশিন দ্বারা পেটের ভিতর অক্সিজেন ঢুকিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় হারুনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবির পরিচর্যা (আই,সি,ইউ) কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে হারুন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জায় লড়ছে।

জানা গেছে হারুনের বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ আবেদ আলী। মাতার নাম আয়েশা বেগম। ৪ বোন ৩ ভাইয়ের মধ্যে হারুন সবার ছোট। হারুনের পিতা একজন দরিদ্র শ্রমিক। যে বয়সে বই, খাতা, কলম হাতে নিয়ে স্কুলে যাওয়া আর পড়ার সাথীদের সাথে খেলার কথা, সেই বয়সে দরিদ্রতার চাপে কিশোর হারুন কাজ নেয় গ্যারেজে। বাবার অভাবের সংসারে সহযোগিতাই ছিল তার উদ্দেশ্য।

ওই ঘটনায় হারুনের ভাই রিপন বাদী হয়ে, ৪ জনকে আসামী করে মোহাম্মদ পুর থানায় মামলা দায়ের করে। যাহা মোহাম্মদপুর থানার মামলা নং-০৩ তারিখ ০১/০৯/২০১৬। মামলার পর পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। মোহাম্মদ পুর থানার অপারেশন অফিসার মোঃ আবজাল হোসেন মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান আদালত আসামীদের নামে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ও ৬৪ ধারা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন।

ANUTOSH

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহিদুল ইসলামের সাথে তার ব্যাবহারিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদিকদের কোনরূপ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করে ইহা তার নাম্বার নয় বলে ফোন কেটে দেন।
মানবন্ধনের পর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সভাপতি এম,এ করিম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোঃ নাসিমের সাথে যোগাযোগ করলে তারা যার যার অবস্থান থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অসুস্থ হারুনকে দেখতে আই সি,ইউ কক্ষে যান এবং অসুস্থ হারুনের চিকিৎসার যাবতীয় খোজ খবর নেন।
মানববন্ধনকারীরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সহ সরকারের আইন প্রয়োগ কারী সকল মহলের নিকট অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি সহ অসুস্থ হারুনের সু- চিকিৎসার দাবী জানান।






Shares