স্বামীর মৃতদেহ দেখেই কাঁদতে কাঁদতে মৃত্যু স্ত্রীর
মাইসোর: ‘মৃত্যুও আমাদের আলাদা করতে পারবে না’- কথাটা কি আদৌ সত্যি হয়? কখনও কখনও হয়। যেমন হয়েছে জয়াম্মা ও পরশিবমূর্তির জীবনে।
মালাভালি তালুকের দোদ্দাভুভাল্লি গ্রামের দম্পতি বছর ৮৫-র পরশিবমূর্তি ও তাঁর স্ত্রী ৫৮ বছরের জয়াম্মার বিবাহিত জীবনের বয়স ৪৫।কিন্তু সম্প্রতি বাধর্ক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পরশিবমূর্তি। বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। চিকিত্সায় কোনও সাড়া দেননি তিনি। তাঁর মারা যাওয়ার খবর বাড়িতে আসতেই শোকে কাতর হয়ে পড়েন জয়াম্মা। স্বামীর মৃতদেহ বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে মৃত্যু হয় তাঁরও।
পড়শিদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, তাঁদের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। রাস্তার ধারে এক ছোট্ট রুটি-মাখনের দোকান চালিয়ে দিন গুজরান করতেন তাঁরা। সংসারে আর্থিক অনটন থাকলেও ভালোবাসায় কোনও খামতি ছিল না। মৃত্যুও তাঁদের আলাদা করতে পারল না।