Main Menu

‘টিআইবি ও সুজন বিএনপির মুখপাত্র’

+100%-

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আবারও অনির্বাচিত সরকার ও নৈরাজ্য ফিরিয়ে আনতেই মধ্যবর্তী নির্বাচন দাবি করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)সহ কিছু কিছু মহল। এতে বুঝা যাচ্ছে তারা বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

টিআইবি ও সুজনের এই ‘চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে এপ্রিল মাসে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে সফর করার কথা জানিয়েছেন ১৪ দলের এ নেতা।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সাম্প্রতিককালে আমরা লক্ষ করেছি, টিআইবি ও সুজনসহ কিছু কিছু মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কেন কি কারণে নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে না? সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্যে। তারা আসেনি, নৈরাজ্য ও জ্বালাও পোড়াও করেছে। মাত্র ৬ মাসের মাথায় এসব সংগঠন কেন কি কারণে উৎসাহ দেখাচ্ছে আমাদের কাছে পরিষ্কার।

তিনি বলেন, জঙ্গিমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে। সেখানে বিরোধী দল মাত্র ৮দিন উপস্থিত ছিল। তখন তাদের বলা উচিত ছিল, কি পার্লামেন্ট ছিল? এখন পার্লামেন্ট শান্ত বলে বলছে, বিরোধী দল নেই। এ ধরনের ধারা কীসের জন্য? এদের উদ্দেশ্য ভালো না। খারাপ। আমরা সরকারকে সতর্ক করছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে তারা জনগণের ভাষা বুঝবে।

‘আমরা দেখেছি নির্বাচনের আগে এরা এ ধরনের উদ্বেগ দেখায়নি, এখন তাদের এ উদ্বেগ কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে কিনা?’- এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, যখন এদেশে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এদের একদিনও দেখিনি কথা বলতে। এখন কথা বলার অর্থ হচ্ছে, তারা অগণতান্ত্রিক সরকার ও নৈরাজ্য ফিরিয়ে আনতে চায়। এরা কাদের ভাষায় কথা বলছে আপনারা বুঝতে পারছেন। খালেদা বিএনপির ভাষার সঙ্গে এদের ভাষার মিল রয়েছে।

আইনগত ব্যবস্থা নেবেন কিনা?- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলবো তাদের অর্থের উৎস কোথায় খতিয়ে দেখতে। ওই সব সংগঠনের উদ্দেশে নাসিম বলেন, অহেতুক উসকানি দিয়ে পরিবেশ ঘোলাটে করবেন না। সতর্ক করছি। অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে নাসিম বলেন, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে সহিংসতা হবেই। ডিজিটাল ও মিডিয়ার যুগে কারচুপির সুযোগ নেই। হারলে কারচুপি বলবেন, এটা হতে পারে না। যারা সহিংসতা করছে তাদের বিরুদ্ধে ববস্থা নেওয়া হচ্ছে। সহিংসতা যেখানে হচ্ছে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি বিশ্বাস করে না। তারা মাথা ঠান্ডা করে উপজেলা নির্বাচনে আসায় তাদের অভিনন্দন জানান ১৪ দলের এ মুখপাত্র।

১৪ দলের এই সভার শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও গণতন্ত্রী পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম খানের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে।

এসময় ১৪ দল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক অসীতবরণ রায়, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক,  সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, সদস্য সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।






Shares