Main Menu

রবিবারের কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে হেফাজত

+100%-

ডেস্ক ২৪ : প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোটের রবিবার ঢাকা অভিমুখে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে চরম উদ্বেগ৷ কি হবে ওই দিন? আবারও কি দেশ বড় ধরনের কোনো সহিংসতার দিকে যাচ্ছে?

এর মধ্যে জানা গেছে, কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে আলোচিত ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম৷ তবে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি৷ তাঁরা বলছেন, বিচ্ছিন্নভাবে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন, কেন্দ্রীয়ভাবে নয়৷

হেফাজতের ঢাকায় আসার তথ্যে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও৷ পুলিশ বলছে, জাতীয় পতাকার আড়ালে কাউকে লাঠিসোঁটা বহন করতে দেয়া হবে না৷ গোয়েন্দাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ৷

হেফাজত নেতার বক্তব্য

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সেলের প্রধান মাওলানা আহলুল ওয়াসেল বলেন, বিএনপির এই কর্মসূচিতে হেফাজতে ইসলাম সরাসরি অংশ নেবে না৷ কেন্দ্র থেকে তেমন নির্দেশনাও দেয়া হয়নি৷ তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় তাতে যোগ দেন, তাহলে দিতে পারেন, তাদের নিষেধ করা হবে না৷ অনেক নেতাকর্মী ইতিমধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা এসেছেন বা আসছেন তারা সমাবেশে যোগ দিতে চাইলে দিতে পারে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে যাবেন না৷

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্নস্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন৷ কুষ্টিয়া থেকে বিএনপির পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা আসতে শুরু করেছেন৷ হেফাজতের কুষ্টিয়া জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল সাংবাদিকদের বলেছেন, সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নেতা-কর্মীরা বাস-ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছেন৷ শুধু কুষ্টিয়া থেকে তাদের প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দেবেন৷ বিএনপির কর্মসূচিতে হেফাজত কেন যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘জালেম সরকারের বিরুদ্ধে আলেমরা অভিযাত্রায় যাচ্ছে৷”


পুলিশের বক্তব্য

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা) মনিরুল ইসলাম বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে এমন তথ্য তাঁরাও পেয়েছেন৷ হেফাজত যেন কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে৷ বিশেষ করে লাঠিসোঁটা বা আগ্নেয়াস্ত্র যাতে কেউ বহন করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা৷ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণ গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ধরনের কোনো গ্রেফতার হচ্ছে না৷ নির্বাচন উপলক্ষ্যে যৌথবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে দেড়শ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী৷ নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতে এই অভিযান বলে জানান তিনি৷

এদিকে, বিরোধী দলের কর্মসূচিতে পুলিশ অনুমতি দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ সব কিছু বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে৷ তবে কর্মসূচির নামে কাউকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে দেয়া হবে না, বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

বিএনপির অভিযোগ

মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিকে ঘিরে গণ গ্রেফতার শুরু করেছে পুলিশ – এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব) মাহবুবুর রহমান৷ তিনি দাবি করেন, সরকার প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে৷ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৩৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি৷

মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার যত বাধাই দিক না কেন ২৯ ডিসেম্বর ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নামে ঢাকা অভিমুখে অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে৷ হামলা, মামলা দিয়ে শত চেষ্টা করেও অতীতের কোনো সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও এই সরকার পারবে না৷ তারা বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচি দমন করতে গিয়ে সারা দেশটাকে আজ অবরুদ্ধ করে ফেলেছে৷ তাই জনতার বিজয় হবেই৷

মিছিলের চেষ্টা

শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের মিছিলের চেষ্টায় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে৷ এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় ছোটোছুটি৷ এক পর্যায়ে হিজবুতকর্মীরা বেশ কয়েকটি হাতবোমা ফাটিয়ে আশেপাশের গলিতে ঢুকে পড়ে৷ হিজবুতকর্মীরা প্রধান সড়ক থেকে সরে গেলেও আশেপাশের বিভিন্ন গলিতে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া চলে৷ এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে৷






Shares