Main Menu

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে ত্রিপুরা, কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব

+100%-

ডেস্ক ২৪ :  আগরতলা, ২৩ সেপ্টেম্বর: পালাটানার বাণিজ্যিক উৎপাদন নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেই মুখ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ত্রিপুরা তার ভাগের থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে বিক্রি করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। রুখিয়ায় ২১ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি নতুন ইউনিটের উদ্ধোধন বরে মুখ্য মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা এখন বিদ্যুতে ঘাটতি রাজ্য হলেও আর কিছু দিনের মধ্যেই উদ্ধত্ত রাজ্য হবে । ত্রিপুরায় এখন নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ মেগাওয়াট। রাজ্যের সর্বোচ্চ চাহিদা ২৪০ মেগাওয়াট। কাজেই বাকি বিদ্যুৎ বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। রাজ্যের নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুখিয়ার নতুন  
ইউনিটের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মানিক সরকার বলেন, মনারচকে নিপকোর ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারী চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মনারচকের ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই রাজ্য পাবে। পালাটানা থেকে ত্রিপুরা পাবে ১৯৬ মেগাওয়াট। এতে রাজ্যর নিজস্ব চাহিদা মিটিয়েও ত্রিপুরার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদ্ধত্ত হবে। উদ্ধত্ত বিদ্যুৎ বাইরে বিক্রি করবে রাজ্য। পালটানার জন্য বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারি ভারি যন্ত্রপাতি আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের   কাছে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চাই। এতে দুদেশের সর্ম্পক নিবিড় হব্ েকিন্তু কেন্দ্র কেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি তা বুঝে উঠতে পারছি না। পালাটানা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান,
যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য এখন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন হচ্ছে সেখানে। খুব শিগগির পাল্টানায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে পালাটানার ৩৬৩ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষম প্রথম ইউনিট রাষ্ট্রপতি উদ্ধোধন করার পর নানা গোলযোগ তার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে পারেনি। মূখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর পালাটানার প্রথম ইউনিটটির উৎপাদন শুরু হলেই দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন হবে। যাই তোক, পালটানা নিযে আশা-নিরাশার দোলাচলের মাঝেই রুখিয়া রাজ্যকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে বলা যায়। রুখিয়ার নতুন ২১ মেগা ইউনিট স্থাপনে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে






Shares