Main Menu

ভারতীয় ভিসার নতুন নিয়ম

+100%-

এখন থেকে ই-টোকেন আর সাক্ষাতকার ছাড়াই মিলবে ভারতীয় ভিসা। যেকোনো সময় অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আর অনলাইনে আবেদনের প্রিন্ট কপি, পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দেওয়া যাবে যেকোনো কর্মদিবসে। এরপর মোবাইলে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে ভিসা প্রদানের তারিখ। রাজধানীর সব ভিসাপ্রার্থীর জন্য থাকবে একটিই আবেদন কেন্দ্র।

রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে সমন্বিত ও অত্যাধুনিক ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে শুক্রবার (১৪ জুলাই)।সুবিশাল এই ভিসা আবেদন কেন্দ্রে সর্বাধিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে কর্মকর্তা রঞ্জন মণ্ডল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘ই-টোকেন সংগ্রহ ও সাক্ষাতকারের প্রয়োজন হবে না। এখন থেকে সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেই ভিসা পাওয়া যাবে। নতুন ভিসা কেন্দ্রটিতে প্রয়োজনীয় সব সেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রায় ১৯ হাজার স্কয়ারফিট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে একসঙ্গে ৭০০ জন বসতে পারবেন। প্রতিদিন পাঁচ হাজার ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ’

এর আগে অনলাইনে আবেদনের জন্য কম্পিউটারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ই-টোকেন সংগ্রহ করতে হতো। নির্ধারিত সময় এই টোকেন সংগ্রহে অনেকেই ব্যর্থ হতেন।ফলে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে টাকার বিনিময়ে ই-টোকেন সংগ্রহ করতেন ভিসা প্রত্যাশীরা। অনেক সময় ফরম পূরণ করেও ই-টোকেন মিলতো না। ই-টোকেন সংগ্রহের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ভিসাকেন্দ্রগুলোতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদন জমা দিতে হতো ভিসা প্রত্যাশীদের। এ পরিস্থিতি পাল্টাতেই নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আবেদন জমা দেওয়ার জন্য রয়েছে ৪৮টি কাউন্টার। মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সিটিজেন ও নারীদের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে। এছাড়া অপেক্ষমাণ ভিসা আবেদনকারীদের জন্য বিল পরিশোধ করে কফি এবং কোমল পানীয় ভেন্ডিং মেশিন, খাবার দোকানসহ বিভিন্ন সেবা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভিসা প্রার্থীদের সুবিধার জন্য ১৮ বছরের নিচে ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের পাঁচ বছরের ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে কয়েকজনকে ভিসাও দেওয়া হয়েছে দুই দেশের পক্ষ থেকে।

যেভাবে পাবেন ভারতীয় ভিসা
ভারতীয় ভিসা’র জন্য বর্তমানে ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ পরিচালিত ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটের (https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/) মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে। পাসপোর্টসহ আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপির সঙ্গে দুই কপি ছবি (সত্যায়িত) দিতে হবে। এছাড়া আবেদনের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পরিচয়পত্র না থাকলে অন্য পরিচয়পত্রের ফটোকপি, বাসা-বাড়ির বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বা টেলিফোন বিলের ফটোকপি জমা দিতে হবে। নতুন পাসপোর্ট হলে এর সঙ্গে পুরাতন পাসপোর্টও জমা দিতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট না থাকলে ১৫০ ডলারের বেশি পাসপোর্টে এনডোর্স করতে হবে।
অনলাইনে ফরম জমা দেওয়ার পর পরবর্তী পাঁচদিনের মধ্যে ভিসা কেন্দ্রে গিয়ে পাসপোর্টসহ অনলাইনে জমা দেওয়া আবেদনের প্রিন্ট কপি (অন্যান্য কাগজপত্রসহ) জমা দিতে হবে। এই আবেদন জমার আগে ভিসা ফি বাবদ ইউক্যাশের মাধ্যমে ৬০০/৭০০ টাকা জমা দিতে হবে। ইউক্যাশের টোকেন ছাড়া আবেদন জমা নেওয়া হবে না। আবেদন জমার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে কবে আপনাকে ভিসা দেওয়া হবে। না দেওয়া হলে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট দিনে গেলেই ভিসা পাওয়া যাবে।






Shares