নবীনগরে ভোলাচং গ্রামে শত বছরের দীঘি বালি ভরাট করছে প্রভাবশালীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি শত বছরের পুরাতন দীঘি বালি দিয়ে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি ভুমি দুস্যচক্র। দীঘি ভরাট কাজ বন্ধ করার জন্য স্থানীয়রা নবীনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছে। প্রতিদিন বালি দিয়ে দীঘিটি ভরাট কাছ চলছে। দ্রুত ভরাট কাজ বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার ভোলাচং গ্রামে শত বছরের পুরোনো একটি দীঘি রয়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনে এই ঐতিয্যবাহী পুকুরটি বালি দিয়ে ভরাট করছে প্রভাবশালী একটি ভুমি দুস্য চক্র। এই দীঘিতে গ্রামের শত শত নারী পুরুষ গোসল করে প্রতিদিন। এছাড়াও দীঘিটির পাশে রয়েছে একটি মন্দির। পূজারিরা দীঘি থেকে পানি দিয়ে তাদের কাজ কর্মে করে থাকেন। তাছাড়া দীঘিটি আশে পাশে হিন্দু ও মুসিলম পরিবার বসবাস করায় তাদের পানি ব্যবহার করার মাধ্যম। প্রভাবশালী চক্রটি তাদের নিজেদের দীঘি দাবী করলেও তার মধ্যে রয়েছে সরকারী খতিয়ানভূক্ত জায়গা। এরপরও চলছে দীঘিটির ভরাট কাজ। দীঘিটি ভরাট করে ভুমিদুস্য চক্রটি প্লট করে বিক্রি করার কথা রয়েছে। প্লটের জন্য কয়েক জনের কাছ থেকে অগ্রীম টাকাও নিয়েছে। দীঘি ভরাট কাজ বন্ধ করার জন্য ও প্রভাবশালী রতন দাসসহ দুই জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ১৯ অক্টোবর নবীনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে ভোলাচং গ্রামের আবদুর রোফ মিয়া লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকরাও দীঘি ভরাট বিষয়টি উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে এই বিষয়ে অবহিত করে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ওয়ালীউল হাসানকে সরজমিনে পাঠালে সাময়িক ভরাট বন্ধ থাকলেও আবার গত দুই ধরে চলছে দীঘি ভরাট। এদিকে স্থানীর এলাকাবাসী ভরাট কাজে বাধা দিলে রতন দাস নামে একজন জানিয়ে দেন সবকিছু ম্যানেজ করে তিনি দীঘিটি ভরাট করছেন। দ্রুত ভরাট কাজ বন্ধ না হলে যে কোন সময় প্রভাবশালী ভুমি দুস্য চক্রের সাথে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে এই ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম সাথে যোগযোগ করলে স্থানীয়দের তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেছেন। এই বিষয়ে তিনি আরও জানান দীঘি ভরাটে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।