Main Menu

নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক জামাতের বৈঠক থেকে গ্রেপ্তার

+100%-
বিশেষ প্রতিনিধি : নবীনগর থেকে কুমিল্লার দেবিদ্বারে গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত ২৭ জামাত নেতা কর্মীর অন্যতম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শেলি ও নবীনগর মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের গ্রেপ্তার নিয়ে নবীনগরের বিভিন্ন মহলে গত দু’দিন ধরে আলোচনার ঝড় বইছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে দেবিদ্বার হিলফুল-ফুজুল বিদ্যালয়ে জামাতে ইসলামীর স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের একটি জরুরী বৈঠক চলছিল। বৈঠকে আগামি দিনে একাত্তুরের মানবতা বিরোধী অপরাধে বিচারাধীন জামাতের কেন্দ্রীয় নেতাদের মামলার রায় ঘোষণার দিনে জামাতের করনীয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সংবাদ পেয়ে দেবিদ্বার থানার পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে জামাতের কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে। পরে জামাত-পুলিশ সংঘর্ষে চার পুলিশসহ ১০জন আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জামাতের ২৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে দুটি মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃতদরে মধ্যে নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শেলি ও নবীনগর মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমও ছিলেন।
এদিকে দেবিদ্বারে জামাতের কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উল্লেখিত দু’জনের গ্রেপ্তারের খবর নবীনগরে এসে পৌঁছলে, এ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনার ঝড় ওঠে।
নবীনগর সরকারি কলেজে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থী ফারুক মিয়া, গোলাম হোসেনসহ একাধিক শিক্ষার্থী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,‘সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মহিলা কলেজের একজন সহকারি অধ্যাপক জামাতের গোপন মিটিংয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে অংশ নিয়েছেন, এটি ভাবতেও আমাদের ঘেন্না হচ্ছে।’
নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন,‘তিনি (উপাধ্যক্ষ) জামাতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, এমন অভিযোগ শুনেছিলাম। তবে নবীনগরে তার কোন কর্মকান্ডেই সেটি লক্ষ্য করিনি।’
নবীনগর থেকে নির্বাচিত মহাজোটের (জাসদ ইনু) সংসদ সদস্য ও নবীনগর মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আয়কর উপদেষ্টা জিকরুল আহমেদ বলেন,‘ঘটনাটি চিন্তনীয়। তবে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে যারাই মাঠে নামবে, তাদের কাউকেই ছাড়া হবেনা।’  
দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম মুঠোফোনে দু’জনের গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন,‘এই দু’জনের একজন জামাতের দেবিদ্বার পৌরসভা কমিটির সদস্য (উপাধ্যক্ষ), অন্যজন পৌরসভার ভিংলাবাড়ি শাখার সভাপতি (সহকারি অধ্যাপক)। ধৃত জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে (রাষ্ট্রদ্রোহী) ও পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে পৃথক দ’ুটি মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে ধৃতদের ইতিমধ্যে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’






Shares