Main Menu

সেতু নয় এক মরন ফাঁদ,১০ বছরে ৭ জনের মৃত্যু!

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর পৌরএলাকার আলমনগর ১নং ও ২নং ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলে জন্য নির্মিত সেতুটির বেহাল দশা দখার কউ নেই। গত ২৫ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি গত এক যুগ ধরে চলা চলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। ভাঙ্গাচোরা এ সেতুর উপরে গাড়ি উঠতে গিয়া এই পর্যন্ত এলাকার কমপক্ষে ৭জন জিবন্ত মানুষ এই মরণ সেতুতে উঠত গিয় প্রাণ হারিয়ছ।

সেতুটিতে গাড়ি উঠার সময় বর্তমানে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে বহু লোক পঙ্গুত্ত্ব বরণ করে মানবেতর জীবন যাপন করছে এই সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়। মাঝে মাঝে স্থানীয়রা সেতুটির রেলিংয়ে বাঁশ নিয়ে জোড়া তালি দিলেও সাপ্তাহ পার হলে সেই আগের অবস্থায়ই ফিরে আসে। পৌর এলাকার আলমনগর দক্ষিন সড়ক সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ ‘আলমনগর সেতুতে শনিবার(০৯/১১) দুপুরে সরজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি ব্যাটারি চালিত অটু রিক্সা সেতুটিতে উঠতে গিয়ে উল্টে খাদে পরে আছে।স্থানিয়রা এই অটুতে থাকা যাত্রী সহ ড্রাইবার কে প্রাণে রক্ষা করেছে কিন্তু অটু রিক্সাটি তুলা সম্ভব্য হয়নি। ওখানাকার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ভাঙ্গাচোরা ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটির ওপর দিয়ে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। প্রায় দুই যুগ আগে সেতুটি নির্মাণ হওয়ার পর গত কয়েক বছর আগে সেতুর বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তরা উঠে গিয়ে সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পাশাপাশি সরু এই সেতুর দুই পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাওয়ায় যাত্রীবাহী সকল যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে সেতুটিতে উঠতে গিয়েই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

এলাকার ক্রাউন্সিলর আবু হানিফ বলেন, ‘৯৫/৯৬ সালের দিকে ভাটা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু ৫/৭ বছর আগে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার পরও মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ বর্তমানে এই সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন।সেতুটিত যানবাহন উঠলে কেঁপে উঠে,’যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়তে পারে।
স্থানীয়রা বলেন, ‘এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সেতু থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পড়ে গিয়ে এ পর্যন্ত এলাকার কমপক্ষে সাতজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাই দ্রুত এই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা না হলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’






Shares