Main Menu

মোবারক হত্যার মামলায় নেই মূল আসামিরা

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামের রিকশাচালক চালক মোবারকের বলে যাওয়ার চার হামলাকারী আজও ধরা পড়েনি। মামলায় মূল আসামিদের তালিকায় আসেনি তাদের নামও। এ নিয়ে থানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দাদের একটি চাওয়া এই হামলাকারীরা কি আজও ধরা পড়বে না?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, মোবারক হত্যা ছিলো আমার গ্রামীণ জীবনের দেখা একটি জঘন্যতম হত্যাকান্ড। শুধু জঘন্যয়ই নয় একেবারেই বর্বরোচিত। কারণ মোবারকের স্ত্রীর সামনে তার উপর হামলা করা হয়েছে। স্ত্রীও দেখে হামলাকারীদের। কিন্তু মামলায় হলো এক তুঘুলকি। মোবারকের চাচাতো ভাইয়ের মামলায় ১৫২ জন আসামির মধ্যে কারোই নাম নেই। প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি আজও এই মামলার আসামি হবে না?

মোবারকের উপর হামলাকারীদের সরাসরি দেখা তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম বলেন, আমি অসুস্থ।এ বিষয়ে বিছু বলতে ভয় করে। আসামিদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ভাসুরের (চাঁন মিয়া) সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও মোবারকের চাচাতো ভাই মো. চাঁন মিয়া বলেন, হামলার পর আহত অবস্থায় মোবারক যাদের নাম বলেছেন তার হলেন, থানাকান্দি গ্রামের খোকন মিয়া,উত্তর লক্ষিপুর গ্রামের জীবনের ছেলে জুয়েল,মাঈনউদ্দিনের ছেলে যাবেদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল আধিপত্য বিস্তার নিয়ে থানাকান্দি গ্রামে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও সর্দার আবু কাউছার মোল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় অর্ধশত লোকজন আহত হন। এ সময় কাউসার মোল্লার লোকজনের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হয় রিকশাচালক মোবারকের। পরে এই পা নিয়ে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আনন্দ মিছিল করেন হামলাকারীরা। পরে ১৫ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মোবারক। মৃত্যুর আগে তিনি বলে যান হামলাকারীদের নাম।
তারা হলেন থানাকান্দি হাতবাড়ি গ্রামের সিরাজের ছেলে খোকন, হাজির হাটি গ্রামের মাইনুদ্দিনের ছেলে রুমান, জিল্লুরের ছেলে শাহিন, মালির ছেলে জাবেদ। আরো কয়েকজন ছিলো তাদের চিনতে পারেনি বলে সে জানায়। মোবাইলে ধারন করা মোবারকের এই বক্তব্যর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

কিন্তু ১৭ এপ্রিল ১৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মোবারকের চাচাতো ভাই চান মিয়া। প্রধান আসামি করা হয় পাশের ইউপি বীরগাঁওয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমেদকে। এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী একটি মামলা করা হয় নবীনগর থানায়। এ মামলায় আসামি করা হয়নি কবির চেয়ারম্যানকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন বলেন, মোবারক হত্যা মামলার প্রধান আসামি কবির আহামেদ কে একদিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক আসামিকেই আমরা গ্রেপ্তার করেছি। নিহত মোবারকের বলে যাওয়া আসামিদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।






Shares