Main Menu

নবীনগর পৌরসভার বিদায়ী মেয়র সহ ২২জনকে আসামি করে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মামলা

+100%-

নবীনগর প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার বিদায়ী মেয়র ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন সহ ২২ জনের মিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু ।
গত ১১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিদায়ী মেয়রকে ‘প্রধান আসামি’ করে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বিদায়ী মেয়রের সাথে পদত্যাগ করা উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম রুবেলসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ আদালতের নির্দেশে মামলাটি এফআইআর করেছে।গ্রেপ্তার আতংকে গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নব নির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাসের ‘দায়িত্ব গ্রহণ’ অনুষ্ঠানে বিদায়ী মেয়রকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বিএনপির এই অভ্যন্তরীন কোন্দল এখন এলাকায় ‘টক অব দ্যা টাউন’-এ পরিণত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের সময়
মামলার এজাহার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের সময় গত ৭ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জুর ওপর পদত্যাগকারী ছাত্রদল নেতা হয়রত আলী ও রুবেলের নেতৃত্বে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। ওই সময় বিএনপি নেতা মঞ্জুকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই সময়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়াও একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলা বিএনপির বিদায়ী মেয়র মাঈনুদ্দিনকে পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন না দেওয়ার পেছনে উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি আনিছুর রহমান মঞ্জুর হাত রয়েছে।
এবং বিএনপির দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন মাঈনু।
এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচনের আগেই মেয়র মাঈনউদ্দিন সহ একাধিক ছাত্রদল নেতা দল থেকে পদত্যাগ করেন। আর এর জের ধরেই বিক্ষুব্ধরা মঞ্জুর ওপর ওইদিন হামলা করে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মঞ্জু বলেন, প্রধান আসামির নির্দেশেই অভিযুক্তরা আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে অর্তকিতে হামলা চালিয়েছে। তাই আমি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক মেয়র মাঈনুদ্দিন মাঈনু বলেন, ঘটনার দিন আমি এলাকাতেই ছিলামনা। এরপরও আমাকে এ মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রধান আসামি করা হয়েছে।বিষয়টি দুঃখজনক। আশা করি, সুষ্ঠু তদন্ত করলে আমি নির্দোশ প্রমাণিত হবো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)মো. রাজু আহমেদ জানান, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।






Shares