Main Menu

নবীনগর পৌরবাসীর বর্জ্য অপসারণে আশার আলো দেখাচ্ছেন মেয়র এড. শিব শংকর দাস

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভা কার্যত প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। যে পৌরসভা রয়েছে অসংখ্য মানুষের বসবাস। ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে নবীনগর একটি বিশাল উপজেলা। উক্ত উপজেলা প্রবাসীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দূর দূরান্ত থেকে প্রবাসীর পরিবার ও ছেলেমেয়েরা পৌর শহরে এসে লেখা পড়ার সুবিধার্থে বসবাস করে থাকেন। যার কারণে উক্ত পৌরসভায় রয়েছে লক্ষ লক্ষ লোকের বসবাস। দীর্ঘদিন যাবৎ এই আবাসিক এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের দৈনন্দিন বর্জ্যগুলো তিতাস নদী,রাস্তার আশেপাশে,ড্রেন মধ্যে ফেলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রয়ই বন্ধ করে ফেলেছিল। রাস্তার আশেপাশে দুর্গন্ধের জন্য হাটা যেত না এবং মাঝিকারা নদীর পাশে ময়লা আবর্জনা স্তুপাকারে ফেলার কারণে নগরবাসী অনেক রোগ ব্যাধির এবং দুর্গন্ধের শিকার হত। বর্তমান পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ভ্যানে করে প্রতিদিন বাসাবাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা এনে ডাম্পিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে মাঝিকারাতে ফেলত।
টএওওচ-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা নষ্ট করার জন্য একটি ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করেছেন এবং বাসাবাড়িতে পায়ু বর্জ্য অতি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে তাহা গতকাল বৃহস্পতিবার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেছেন। বাসা বাড়িতে কিভাবে ময়লা রাখতে হবে তাও পরীক্ষামূলক ভাবে দেখানো হয়। প্রতিটি বাসাবাড়িতে তিনটি করে ময়লার ঝুড়ি রাখার জন্য তিনি নগরবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন। মেয়র এড. শিব শংকর দাস বলেন, আপনারা প্রত্যেকে যাহারা স্বাবলম্বী আছেন তিনটি করে ময়লার ঝুড়ি বাসাতে রেখে ময়লা আলাদা আলাদা রাখবেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা গুলো আলাদা ভাবে সংরক্ষণ করবেন এবং বোতল প্লাস্টিক জাতীয় যে বর্জ্য গুলো আছে সেগুলো বিক্রি করে সামান্য আয় করা যাবে তিনি পৌরবাসীকে যত্রতত্র ময়লা না ফেলে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য আহবান জানান।এছাড়াও তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ময়লা যথাসময়ে বসতবাড়ি থেকে নিয়ে আসবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা: মো. হাবিবুর রহমান,প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ সেক্টর) প্রকল্প (ইউ জি আই আই পি- –তিন) ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মো.আহাদ আলি, পৌরসভার সচিব বেলজুর রহমনা খান, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ সারোয়ার বাতেন, কাউন্সিলর মো. আবু সায়েদ, কাউন্সিলর মো. জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলর মো. নূরুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা মো. খাইরুল আমিন সহ আরো অনেকেই।






Shares