Main Menu

নবীনগরে সূর্যমুখী ফুলের চাষে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে কৃষক

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর  প্রতিনিধিঃ শুধু সৌন্দর্য উপভোগের জন্য নয় ফুলের বীজ থেকে উৎপাদিত হবে মূল্যবান তেল। খাবার তেলের চাহিদা মেটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এই প্রথমবারের মত সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সূর্যমুখীর বীজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। ফুল চাষীদের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকেই। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা দল বেঁধে আসছেন এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। ফুল চাষের মাধ্যমে ঘুরে দাড়াবার স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষক।

প্রথমবারের মতো জেলার নবীনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে।’কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে সার, বীজ ও নগদ অর্থ। প্রতি ত্রিশশতাংশ জমি থেকে ৬ থেকে সাড়ে ৬ মন সূর্যমুখীর বীজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে চাষীরা। উৎপাদিত বীজ দিয়ে তেল ছাড়াও পাওয়া যাবে খৈল। অবশিষ্ট গাছ ব্যহার করা যাবে জ¦ালানীর কাজে। ধান চাষ করে তেমন লাভবান হতে না পারলেও কৃষকরা আশা করছে সূর্যমুখী চাষে লাভবান হবেন তারা। ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষকরা সূর্যমুখী ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারবেন। বিঘা প্রতি কৃষকরা ১০/১১ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবেন। ভিটামিন সমৃদ্ধ সূর্যমুখীর তেলে কোলেস্টোরেলের পরিমান খুবই কম। আগামিতে সূর্যমুখীর চাষ অনেক বাড়বে বলে মনে করছে চাষীরা। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেতে লোকজন ফুলের বাগান দেখতে আসছে। উৎপাদিত সূর্যমূখী বীজ বিক্রয়েও কৃষকদের সহায়তা করবে কৃষি বিভাগ। লাভজনক এ ফুল চাষের মাধ্যমে তেল জাতীয় ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ন হবে দেশ এমনটাই প্রত্যাশা।






Shares