Main Menu

নবীনগরে লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় ধ্বসে পড়ে আহত তিন

+100%-

 মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর থেকেঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়ে আইসিটি ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী। আর এ কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ। এ ঘটনায় দুই নির্মাণ শ্রমিক ও এক ছাত্র আহত হয়েছে।

জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে এক তলা এ ভবন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। জানাযায়, নবীনগর উপজেলার লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়ে আইসিটি ভবনটি জাইকা প্রকল্পের অধিনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজ গত মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ভবনটির নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় গতকাল দুপুরে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পরে। এতে দুই নির্মাণ শ্রমিক ও এক শিক্ষার্থী আহত হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, এই নির্মাণ কাজটি খুবই নিম্নমানের হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, একাডেমিক সুপারভাইজার ইতি বেগম। বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরুজ মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।নিম্নমানের কাজ করার কারনে ওই ঠিকাদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল ইসলাম লিটন অভিযোগ করে বলেন,এই নির্মাণ কাজ শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ঠিকাদার সালাউদ্দিন ও প্রকৌশলী কেউই একবারের জন্য কাজের সাইডে আসেননি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও করেননি।নিম্নমানের কাজ শুরু করায় রাজমিস্ত্রীকে অনেকবার বাধা দেওয়ার পরও তারা কাজ চলমান রাখে। আজ বেলা ১১ টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনের একটি দেয়াল বিকট শব্দে ধ্বসে পরে।ঐ সময় স্কুলে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতংকিত হয়ে ক্লাস রুম থেকে স্কুল মাঠে বেরিয়ে আসে।

ঠিকাদার সালাউদ্দিন অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করি নাই। সঠিক ভাবে কাজ করেছি। বাড়ান্দার দেয়ালে অতিরিক্ত লোডের কারনে এই ঘটনা ঘটে। নবীনগর উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, নিম্নমানের কাজ হয়ে থাকলে সম্পূর্ণ কাজ আবার নতুন করে করতে হবে।






Shares