Main Menu

 যাত্রী পাড়াপাড়ে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া দেখার কেউ নেই...

নবীনগরে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিষেধ মানছে না স্পীটবোড মালিকরা!

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: সরকারের দেয়া সারা দেশের চলমান লকডাউন মানছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌর সভার স্পীটবোড মালিক সমিতি। তারা সরকারের দেয়া লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নবীনগর টু ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগর টু ভৈরব রোডে স্পীটবোডে গাদাগাদি করে যাত্রী বোঝাই করে ভাড়া টানছেন।যাত্রী পাড়াপাড়ে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নবীনগর উপজেলা প্রশাসন স্পীডবোট মালিকদের ডেকে সরকারের বিধিনিষেধ মেনে পরবর্তী নির্দেশা না দেয়া পর্যন্ত যাত্রী চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রধান করেন। কিন্তু এই নির্দেশনা না মেনে যাত্রী পাড়াপাড়ে উল্টো মাথাপিছু ২০০ টাকা ভাড়ার স্থলে ২৫০ টাকা করে ১২-১৩ জন যাত্রী নিয়ে সকাল সন্ধ্যা স্পীডবোটে ভাড়া টানছেন। এসময় যাত্রী পাড়াপারের সময় যাত্রীদের কোন প্রকার লাইফ জ্যাকেট,স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মুখে মাক্স পড়তেও দেখা যায়নি। ৮ জন যাত্রী পাড়াপারের বোটে ১২-১৩ জন যাত্রী নিয়ে গাদাগাদি করে ভাড়া টানছেন তারা।

এ বিষয়ে একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে তারা জানান, ঈদের জন্য বাড়ি এসেছিলাম।ঈদ শেষ এখন আমরা আমাদের কর্মস্থলে ফিরবো। গন্তব্যে দ্রুত পৌছার জন্য স্পীটবোডে যাতায়াত করছি। পূর্বে ভৈরব থেকে নবীনগর আসতে ২০০ টাকা করে ভাড়া থাকলেও আজ ২৫০ টাকা করে ৯ জনের বোটে গাদাগাদি করে ১২ জন যাত্রী এসেছে। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি নিষেদ মেনে কম যাত্রী নেয়া হচ্ছে নাসেহেতু ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি দুঃখজনক এবং এর প্রতিকার দরকার।

মহামারি করোনায় সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি নিষেধ না মেনে স্পীডবোট চলাচলের বিষয়ে জানতে স্পীডবোট মালিক মো. বিল্লাল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, যাত্রী পাড়াপারে আমাদের প্রতিদিন অল্পসংখ্যক বোড চলাচল করে। ভৈরব থেকে আসার পথে ২ জন যাত্রী কম নিয়ে আসায় মাথাপিছু ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। লকডাউনে বোট বন্ধ থাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা,আমাদের সুপারভাইজার এ বিষয়ে বলতে পাড়বেন।

লকডাউনে বোট চলাচল ও ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে নবীনগর স্পীডবোট ঘাটের সুপারভাইজার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের নিকট স্পীডবোট চলাচলের বিষয়ে কথা বললে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ ও প্রশাসনিক কাজে প্রশাসনের লোকজনের চলাচলের ব্যাপারে বলা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ যাত্রী চলাচলের কোন অনুমতি প্রদান করেনি। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে বললে তিনি বলেন,আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রোড নিয়ন্ত্রণ করি, ভৈরব রোড় আমাদের নিয়ন্ত্রেনের বাইরে। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, বিষয়টি জানতে পারলাম অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






Shares