Main Menu

নবীনগরে চাঁদা না পেয়ে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা

+100%-
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর সদরের বিজয় পাড়ার একটি বাড়ির মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করে, না পেয়ে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মধ্যরাতে ওই বাড়িতে একাধিক গুলি ছোঁড়ার ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই আবারো পৌর সদরের বিজয় পাড়ার এক বাড়িতে ঢুকে মুখোশপড়া অস্ত্রধারী দুই যুবক ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত ওই চাঁদা না পেয়ে প্রকাশ্যে দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ছোঁড়াকৃত গুলি দুটি ঘরে থাকা টিভিতে পড়ায় কোন মানুষ আঘাত প্রাপ্ত হননি। ঘরের লোকজনের আত্মচিৎকারে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে ১৫ লাখ টাকা নিতে আবারো
আসবে বলে বাড়ির মালিককে হুমকি দিয়ে গেছে ওই সন্ত্রাসীরা।এ ঘটনার পর ওই বাড়ির লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে বাড়ির মালিক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নবীনগর বাজারের ‘মার্সেল এক্সক্লুসিভ’র স্থানীয় ডিলার রফিকুল ইসলামের বাসায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই চাঞ্চল্যকর
ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, গত ৯ মে রফিকুল ইসলামকে  মুঠোফোনে নিজেকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী  ‘ছোটন’ পরিচয় দিয়ে এক সন্ত্রাসী মালয়েশিয়া থেকে বলছি উল্লেখ করে সে বলেন, নবীনগরের অনেক বড় বড় আলোচিত সন্ত্রাসী ঘটনা আমিই ঘটিয়েছি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে অর্থ সংকটে পড়ায় এখন আমার এখন ১৫ লাখ টাকা লাগবে। আমার (ছোটন) দুই ক্যাডার আসলে তাদের কাছে যেন টাকাটা দিয়ে দিবা।
ঠিক এর তিনদিন পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারির সময় মুখে মাস্ক পরা দুই যুবক এসে  রফিকুলকে বলে, ‘ছোটন ভাই আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। ১৫ লাখ টাকা জলদি দিয়ে দেন। এসময় রফিকুল ইসলামের কাছে এত টাকা নেই বলতেই দুই যুবক কোমড় থেকে পিস্তল বের করে রফিকুল ইসলামের কপালে তাক করে, এসময় পরিবারের লোকজন চিৎকার দিলে, দুই অস্ত্রধারী যুবক তৎক্ষণাত  হত্যার জন্য দুটি রাউন্ড গুলি করে,সেই গুলি অল্পের জন শরীরে না লেগে  ঘরে থাকা টিভিতে গিয়ে লাগে। এরপর তারা পালিয়ে যায়।
নবীনগর বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, গুলি করে যাওয়ার সময় তাদের ১৫ লাখ টাকা নিতে আবারও আসবেন বলে হুমকি দিয়ে গেছে। আর এসব বিষয় আমি যদি থানা পুলিশকে জানাই, তাহলে আমাকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। বর্তমানে আমি আমার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীণতায় আছি।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় জানান, ঘটনাটি শুনে আমি ও আমার সার্কেল মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।





Shares