Main Menu

নবীনগরে কণিকারায় বিদ্যালয়ের জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে

+100%-

08112015_01_LAKSAM_DOKHOLডেস্ক ২৪::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কণিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দানকৃত সাব-কাওলা দলিলমূলে ১০০ শতক(এক একর) এর ভূমির মধ্যে ৭৭ শতক জায়গা দখল করে নিয়েছে গ্রামের প্রভাবশালীরা।মাত্র ২৩ শতক জায়গার মধ্য কোনরকম টিকে আছে বিদ্যালয়টি।দখল হয়ে যাওয়া ভূমি বিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রনে না থাকায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন সম্প্রসারণসহ ছাত্র/ছাত্রীদের সুন্দর পরিবেশে মানসিক বিকাশ সাধনে ও লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে।এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সচেতন সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওযা বিদ্যালয়ের জায়গা উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন।আবেদনে প্রভাবশালী দখলদার মরহুম শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, হান্নান চৌধুরী, আবদুল মান্নান চৌধুরী, দোলাল চৌধুরী, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, মমিন চৌধুরী, মরহুম নুরুল আমিন চৌধুরী, লোকমান চৌধুরী, নিকট থেকে দখল হওয়া ভূমি উদ্ধার করে বিদ্যালয় উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

জানা যায়, এলাকার শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক কালন মিয়া চৌধুরী, আলি আহম্মদ চৌধুরী, ছাদ উদ্দিন চৌধুরী, রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হয়ে এবং গরীব হোসেন খরিদ সুত্রে মালিক হয়ে ১৪৫৯/১৪১৭/ ১৪৬২/১৪৫১/১৪৫২ দাগে এক একর (১০০শতক) নাল ভুমি কণিকাড়া জুনিয়র হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। উক্ত ভূমি ১৯৭৪ সালে ১৮ মার্চ নবীনগর সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিসে দানপত্র দলিল সম্পাদন করা হয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর কালক্রমে প্রভাশালীরা স্কুল ম্যানেজিং কমিটিতে বিভিন্ন সময়ে অর্ন্তভূক্ত হয়ে স্কুলের উক্ত দাগের ৭৭ শতক ভূমি অবৈধভাবে নিজেদের নামে পর্চা খতিয়ান করে দখল করে নেয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দখলদারদের অন্যতম নেতা আবদুল মান্নান চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. আবদুর রহমান, মো. আবদুল কাদির বলেন, স্কুল উন্নয়নের স্বার্থে দখলকৃত ভুমি উদ্ধার হওয়া প্রয়োজন। দখলকৃত জায়গাগুলোতে ফ্লাটসেন্টাররসহ স্কুল অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, এসব বিষয়গুলো আমরা এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি, জায়গাগুলোর উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন.অভিযোগ বিষয়ে আমি অবগত নই,বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে গ্রামের সমাজসেবক রাজনীতিবিদ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন সরকার বলেন, সাফ-কাওলা দানপত্র পত্র দলিল মূলে স্কুল ১ একর জমির মালিক কিন্তু ৯০/৯১ সালে জরিপকালে অবৈধভাবে দখলকারিরা জরিপ করিয়ে ১৯টি পর্চায় ৭৭ শতাংশ জমি নিয়ে নেয়। স্কুল যেহেতু এমপিভুক্ত সেহেতু সরকার এ সম্পত্তির মালিক,সংলিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত জমি উদ্ধারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশা করি ।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (১৯/০১) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন, জায়গা সস্মপ্তি বিষয়গুলো বিজ্ঞ আদালতের এখতিয়ার,আমি তাদের বিজ্ঞ আদালতের মধ্য দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার পরার্মশ দিয়েছি ।






Shares