Main Menu

পরকীয়ার জেরে প্রবাসী স্বামীকে হত্যা, স্ত্রীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

+100%-

নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের আমতলি গ্রামের চাঞ্চল্যকর মো. শাহজাহান খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে নিহত শাহজাহানের স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে বেকসুর খালস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) শেখ রাজিয়া সুলতানা এ রায় প্রদান করেন।

মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নিহত শাহজাহানের স্ত্রী নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামের ধন মিয়ার মেয়ে কোহিনুর আক্তার (৪০), মৃত হাশেম মাস্টারের ছেলে দোহা ওরয়ে দুইখ্যা (৫২), মৃত মতি মিয়ার ছেলে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য গোলাপ মিয়া (৫৫) ও একই উপজেলার বীরগাঁও আমতলী গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে আবুল মিয়া (৬০)। এদের মধ্যে আবুল মিয়া ছাড়া বাকি সবাই পলাতক রয়েছেন। বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, নবীনগর উপজেলার জালশুকা গ্রামের মৃত মস্তু মিয়ার ছেলে মোখলেছুর রহমান ও আশুগঞ্জ উপজেলার বাবুল মিয়ার ছেলে আল আমিন।

মামলার অভিযোগ, ২০০৯ সালে ১৩ নভেম্বর আমতলি গ্রামের আবদুল বারেক খানের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী মো. শাহজাহান খান ছুটিতে বাড়িতে আসেন। আসার পর থেকে স্ত্রী কোহিনুরের সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে মনোমালিন্য চলতে থাকে। ১ ডিসেম্বর রাতে তিন সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন শাহজাহান। হঠাৎ রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে শাহজাহানের ঘরে জোর চিৎকার শুনে বাবা বারেক খান ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানায় শাহজাহানের গলাকাটা লাশ পড়ে রয়েছে। এতে পরিবারের লোকজন সন্ধেহজনকভাবে কোহিনুরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ০২ ডিসেম্বর শাহজাহানের পিতা আব্দুল বারেক খান পূত্রবধূ কোহিনুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ কোহিনুরকে রিমান্ডে নিলে তিনি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবিন্দ দেন। পরে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট শাহ আলম জানান, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এ রায়ের ফলে আর কোনো নারী তার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করবে না বলে আমাদের বিশ্বাস। স্বাক্ষ্য প্রমানে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত চারজনের ফাঁসির রায় ও অন্য দু’জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল মিয়া জেল হাজতে আটক রয়েছে। কোহিনুর আক্তার আদালতের জামিন নিয়ে এবং অন্য দুইজন প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন।

তিনি বলেন, বাকি আসামিরা গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের রায় কার্যকর হবে। এদিকে মামলার বাদী আব্দুল বারিক খান ছেলে হত্যার বিচারের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।






Shares