Main Menu

নবীনগর খারঘর গণকবরে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভ-৭১ এর উদ্বোধন

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর সংবাদদাতা: বিপুল উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে নবীনগর উপজেলার খারঘর গণকবরে নির্মিত হওয়া দৃষ্টিনন্দন স্মৃতি স্তম্ভ -৭১ এর উদ্বোধন করা হয়েছ্।ে গতকাল ২৯ মার্চ দুপুরে দৃষ্টিনন্দন এই স্মৃতি স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫(নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। এ সময় এক আলোচনা সভায় যুদ্বকালিন কমান্ডার ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) চিত্তরঞ্জন পাল, নবীনগর থানার অসি মো: আসলাম শিকদার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, বড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাকির হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এই প্রথমবার মত স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এর সহযোগীতায় ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্মৃতি স্তম্ভটি নির্মিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নে পাগলা নদীর তীরবর্তী খারঘর গ্রাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর, আশুগঞ্জ, ভৈরব ও নবীনগর উপজেলা সদরের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় মুক্তিযুদ্ধে এ অঞ্চলটিতে হানাদারদের আক্রমনের ভয় খুব একটা ছিল না। মুক্তিযোদ্ধারা এখানে অবস্থান নিয়ে কয়েকটি অপারেশন চালায় নবীনগর, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বিষয়টি এক পর্যায়ে জেনে যায় পাকিস্থানি হানাদাররা। ১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর বরবর পাক বাহিনী নদী পথে জাহাজে এসে এলোপাথাড়ি আক্রমন করে। এ সময় হত্যা করে ৪৩ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে। তাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে আহত হয় ১শ ২৭জন। নিহতের একই সাথে গণকবর দেওয়া হয় এই স্থানটিতে। এরপর থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর খারঘর গণহত্যা দিবস পালিত হয়ে আসছে।