Main Menu

নবীনগরে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রিকশাচালক সেন্টুকে নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর থেকেঃ ২১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নবীনগর উপজেলা পরিষদ। প্রায় সাত লাখেরও অধিক জনসংখ্যার এ উপজেলায় আসন্ন ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের মতো নবীনগরেও শুরু হয়েছে নির্বাচনী আমেজ । ইতোমধ্যে প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার সাটিয়ে নিজের প্রার্থীতা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদলসহ ৩ পদে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রার্থী মনোনয়ন যুদ্ধে লড়বেন বলে জানা গেছে।

চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা সহ এ তিন চেয়ারে অর্ধশত মানুষের আগ্রহ দেখে সাধারণ জনগণ যতটা হতবাক এরচেয়ে বেশি কৌতুহল বেড়েছে সেন্টুকে নিয়ে। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এ কে এম সেন্টু। নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাবী করে একটি পোস্টারের মাধ্যমে তিনি প্রার্থীতার কথা জানান দেন । উপজেলাবাসীর উদ্যেশে নিজের হাত তোলা হাসিমুখের একটি পোষ্টার নিজেই শহরের বিভিন্নস্থানে সাটাতে দেখা গেছে তাকে। পৌর এলাকার মাঝিকাড়া গ্রামে মৃত সোনা মিয়ার ছেলে সেন্টু পেশায় একজন রিকশা চালক। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রাথমিকের গণ্ডি পার না হওয়া আনুমানিক ত্রিশ বছরের টগবগে এ যুবক পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে নানা কারনে বিতর্কিত রয়েছেন।

বিতর্কিত ব্যক্তির নির্বাচন করাটাকে কতটুকু যৌক্তিক মনে করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তার গ্রামেরই কয়েকজন জানিয়েছেন, অতিতের ভুল শুধরে কেউ যদি ভালোর তালিকায় নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে তার নির্বাচনে বাধা কিসের। তবে কেউ কেউ রঙ্গরস মিলিয়ে বলতে শুনা গেছে, কারো ইন্দনে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সেন্টু কি ‘হিরু আলমের’ ভুমিকা নিচ্ছেন। সেন্টু মিয়া পোস্টারে নিজের নাম একেএম সেন্টু ব্যবহার করেছেন। তবে নামের মাঝে গুরুত্ব আনতে নাকি এমন করেছেন বলছেন কেউ কেউ। তাকে নিয়েই নবীনগরে এখন চলছে সর্বত্র আলোচনার ঝড়। নানা মুখে নানান গুঞ্জনে ব্যস্ত থাকছেন আমজনতার অনেকে।

পাস ফেল যাই হওক না কেন, সাধারণ জনগনের আগ্রহে তার বেশ উৎসাহ জাগছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম সেন্টু বলেন, নির্বাচন করতে কোন টাহা পয়সা লাগে না। প্রচারনায় বেশ সারা পাচ্ছি। সঠিক নির্বাচন হলে জয় হবো ইনশাল্লাহ্। সেন্টু আরো বলেন,আমি কোন দল থেকে নির্বাচন করবো না স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই লড়বো। নির্বাচিত হলে নবীনগরকে মাদকমুক্ত করে ছাড়বো আর শ্রমিক ভাইদের জন্য নৈশ্যবিদ্যালয় ও ষ্টেশন নির্মান করবো। সংসার চালাতে আমি রিস্কা চালায়। এছাড়াও প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে তার এক হাজার কি বারোশর মত টাকা আয় হয় বলে জানিয়েছেন।






Shares