Main Menu

নবীনগরে খাল ভরাট করে সরকারি খাল দখল ও ব্রীজ ভেঙ্গে রড ইট কংক্রিট বিক্রীর অভিযোগ

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: সরকারি কোন অনুমতি ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মিরপৃর গ্রামে খালে ড্রেজার দিয়ে ভরাট করে সরকারের নির্মিত জনগনের যোগাযোগের একটি ব্রীজ ভেঙ্গে তার রড ইট কণক্রিট বিক্রী করে ফেলেছে গ্রামের প্রভাবশালী হারুন মুন্সি। বৃহসপতিবার (২৮/১১) মিরপুর গ্রামের কবির মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত এ অভিযোগ করেন।

সুত্র জানায়, মিরপুর গ্রামের আবু সামা মিয়ার বাড়ির পার্শ্বে নতুন বাজারের সাথে খালের উপর একখানা পাকা ব্রীজ ছিল। যেটি গ্রামের সাথে ইউনিয়ন ও উপজেলায় যোগাযোগের একটি অন্যতম রাস্তা। ওই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে প্রভাবশালী হারুন মুন্সি কালক্রমে ড্রেজারের মাটি দিয়ে খালটি ভরাট করে ফেলে এবং খালের উপর সরকারিভাবে নির্মিত ব্রীজটি ভেঙ্গে তার ইট,রড,কণক্রিট বিক্রী করে বিক্রীত টাকা আত্মসাৎ করে। স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের সাহেব সর্দাররা বে-আইনি ভাবে খাল ভরাট ও সরকারি ব্রীজ দখল করার বিষয়টি তাকে জিজ্ঞাসা করিলে দুর্বব্যবহার করে।

এ ব্যাপারে গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখানে খালে একটি ছোট্্র ব্রীজ ছিল এর পাশে ব্যক্তি মালিকানা জায়গা থাকার ফলে কৌশলে কালক্রমে সেই খালটি ভরাট করে ফেলে হারুন মুন্সি এবং ছোট্্র ব্রীজটি অকেজো হয়ে পরায় ভেঙ্গে ব্রীজের মালামাল বিক্রী করে ফেলে।

এ ব্যাপারে ওই গ্রামের মেম্বার মোহাম্মদ আদিল বলেন, এখানে পুর্বে একটি খাল ছিল কিন্তু কালক্রমে সেটি ভরাট হয়ে যায়,আশে পাশে বাড়ি ঘর আছে ফলে ব্রীজটিও অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে ,ব্রীজটি ভাঙ্গা ছিল এটি ভেঙ্গে ইট রড বিক্রী হয়েছে কি না বলতে পারবো না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুন মুন্সী তার বিরুদ্ধে শত্রুুতাবশত এই মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে দাবী করে বলেন, এটা আমার কোন ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এখানে একটা গোপাট ছিল নৌকা চলাচলের কারনে গোপাটে উপর এই ব্রীজটি ছিল,সরকারি বাজেটে চেয়ারম্যান সাহেব এটি ভরাট করে,ফলে এ অকেজো ব্রীজটি যান চলাচলের অসুবিধা সুষ্টি হওয়ায় চেয়ারম্যান মেম্বার সকলের গ্রামবাসীর স্বার্থে ব্রীজ ভাঙ্গা হয়।
এ ব্যাপারে শীবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন সরকার বলেন, এটা রাস্তার গোপাটের ব্রীজ ছিল এটা কোন খাল ছিল না, এটি কোন সরকারি ব্রীজও না,এই ব্রীজ থাকার ফলে যোগাযোগের অসুবিধা সৃষ্টি হতো তাই অনেক আগেই ব্রীজ ভেঙ্গে একটি রাস্তা তৈরী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রোকৌশলী নরুল ইসলাম বলেন, আমাকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, যে কোন ধরনের সরকারি স্থাপনা ভাঙ্গতে গেলে সংশ্ল্ষ্টি বিভাগের অনুমতি লাগবে আর জনস্বার্থে খাল বিল নদী নালা ব্রীজ কোন কিছুই ভাঙ্গা বা ভরাট করা যাবে না সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।






Shares