Main Menu

সব সমস্যা সমাধান ২০৪১ নম্বরে

+100%-

যে কোন কোনো সমস্যায় পড়লে আপনার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মতো মুর্হূতেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে ২০৪১ নম্বরটি। সমাধানের পথ আর দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে নম্বরটির মাধ্যমে। সেবাটি সম্পূর্ণ টোল ফ্রি বা স্বল্প মূল্যে জনগণকে প্রদান করা হবে। যুগান্তরকারী এই সেবা চালু করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

tech

যে কোন কোনো সমস্যায় পড়লে আপনার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের মতো মুর্হূতেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে ২০৪১ নম্বরটি। সমাধানের পথ আর দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে নম্বরটির মাধ্যমে। সেবাটি সম্পূর্ণ টোল ফ্রি বা স্বল্প মূল্যে জনগণকে প্রদান করা হবে। যুগান্তরকারী এই সেবা চালু করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। সোমবার বিকেল তিনটার দিকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ মিলনায়তনে নম্বরটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এই লক্ষ্যে সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর পরিচালিত কলসেন্টারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জাতীয় হেল্প ডেস্কের জরুরি সেবার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্লাস ওয়ান ও মায়া আপা এবং মোবাইল অ্যাপ ও সাইবার নিরাপত্তা বিভাগে কাজ করতে ফোর-ডি কমিউনিকেশনস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানই শর্ট কোডের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করছেন। সরকারেরই এমন ১৭ টি কল সেন্টার চালু রয়েছে। কিন্তু এতো নম্বর মানুষের পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। তাই একটি মাত্র নম্বর ফোন করেই বাংলাদেশের সকল মানুষ যাতে সকল কল সেন্টারের জরুরি সেবা পেতে পারেন, আমরা তেমন একটি সমন্বিত ও কেন্দ্রীয় হেল্পডেস্ক নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।’

২০৪১ নম্বর নির্বাচনের কারণ ব্যাখ্যা করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে আমরা পৌঁছাবো। উন্নত বাংলাদেশ, উন্নত সেবা মাথায় রেখে এ নম্বরটি নির্বাচিত করা হয়েছে। এ সেবাকে বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্নও রয়েছে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। সব ধরনের সেবা নিয়ে ২০৪১ নম্বরের উদ্বোধনী সভায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীসহ অনেকে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক নামের এ সেবা ফোন কলের পাশাপাশি ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এতে ২৪ ঘণ্টা জরুরি সব ধরনের সেবা মিলবে। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ১৭টি সেবা শুরু করবো। তবে ইমার্জেন্সি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ ৮ থেকে ১০টি বিষয় নিয়ে শিগগির কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। পেইড সার্ভিস, কল ফরোয়ার্ড এবং প্রথম দিকে কিছু সময় কম মূল্যে বা বিনামূল্যে এ তিন মাধ্যমে সেবা পাওয়া যাবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে সবগুলো সেবা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

হেল্পডেস্কের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার সময় পলক বলেন, সব মোবাইল গ্রাহক কিন্তু ইংরেজি পড়তে বা সবার স্বাক্ষর জ্ঞান নেই। আবার বিপদে পড়লে আত্মীয়ের মাধ্যমে সেবা বা দিক নির্দেশনা নাও পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে নম্বরটি আপনার কাঙ্ক্ষিত সেবা দেবে। আবার প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ, চাকরির খোঁজ এসব সেবাও মিলবে ২০৪১ নম্বরে। তিনি জানান, এমন অনেক সমস্যা আছে যা কাউকে বলা যায় না বা যাচ্ছে না। তা বলা যাবে এ নম্বরে। সব আইনি সেবা পাবেন গ্রাহকরা। এখানে শুধু তথ্য প্রদান হবে না তথ্য আদান-প্রদান দুই-ই হবে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।






Shares