Main Menu

কারগারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি!

+100%-

br bnp 11-1-15
প্রতিবেদনটি লিখেছেন, জাবেদর রহিম বিজন, স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক মানব জমিন :: ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি কারাগারে! জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মী ধ্বংসাত্মক ও নাশকতার মামলায় জেলে রয়েছেন এখন। ফলে জেলা শহর এখন বিএনপি নেতাকর্মীশূন্য। তবে শহরের আনাচেকানাচে মুক্তি চেয়ে সাঁটানো বাহারি রঙের পোস্টারে নেতাদের চেহারা দেখা যাচ্ছে শুধু। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬শে অক্টোবর বিভিন্ন ধরনের ১২টি মামলার আসামি জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাসহ ৪৬ জন আদালতে জামিন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে ৪২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। এসব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন এনে গত ১৭ই নভেম্বর নিম্ন আদালতে বেইলবন্ড জমা দেয়া হয়। এদিনই জামিনপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২) ধারার মামলায় (নং ৩৩, তারিখ ১১/১০/১৫ ইং) আবার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার এসআই মো. নাজমুল আলমের করা এই আবেদনে বলা হয়, ‘আসামিগণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতাকর্মী। আসামিগন তাদের সহযোগী এজাহারনামীয় অপরাপর আসামিদের সাথে একত্রিত হয়ে গত ১১ই অক্টোবর রাত্রিকালীন মধ্যপাড়া ফখরুল মিয়ার বাড়িতে সরকারবিরোধী ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ করার উদ্দেশ্যে গোপন মিটিং করাকালে রাত ৫টার সময় এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্ণিত আসামিরা তৎসময়ে পলায়ন করে মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তদন্তে আসামিগণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আসামিগণ জিআর মামলায় জেল হাজতে আটক আছে মর্মে তদন্তে জানা যায়। সকল আসামিদের সূত্রে বর্ণিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর প্রার্থনা করিলাম’। এ মামলার কারণে অন্যান্য মামলায় জামিন পেলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের কারামুক্তি আটকে যায়। দলীয় সূত্র জানায়, জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে মোট ১২টি মামলা হয়। জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটি, যুবদল, ছাত্রদল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের সবাইকে এসব মামলার আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে গত ২৬শে অক্টোবর জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. শামীম মোল্লা, যুবদল সভাপতি মো. মনির হোসেন, ছাত্রদল সেক্রেটারি মো. ইয়াছিনসহ ৪৬ জন নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এরমধ্যে ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। বাকি ৪২ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। দলীয় সূত্র জানায়, আগের সব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে নেতাকর্মীরা জামিন পান। নিম্ন আদালতে তাদের বেইলবন্ড জমা হওয়ার পর আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কারণে কারগারে থাকা নেতাকর্মীদের আর মুক্তি মিলেনি। এ অবস্থায় কারাগারেই বন্দি হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি। এদিকে নেতাকর্মীরা জেলে যাওয়ার পর তাদের সমর্থকরা শহরে ব্যাপক পোস্টার সাঁটিয়েছে মুক্তির দাবিতে। এসবেই শুধু নেতাকর্মীদের চেহারা দেখা যাচ্ছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু বলেন, তাদের নেতাকর্মীদের সবাই মামলার আসামি। কয়েকজন ছাড়া এই মুহূর্তে সবাই জেলে রয়েছেন।
মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উদগ্রীব যে নেতারা: কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের সবাই বেরিয়ে আসতে চান। তাদের মধ্যে একটু বেশি জলদিতে আছেন জেলা বিএনপির শীর্ষ ৩ নেতা। পৌরসভার নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। তাদের মুক্তি চেয়ে সাঁটানো পোস্টারে একই সঙ্গে মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আকাঙ্ক্ষাও ব্যক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনায় এই ৩ নেতাসহ দলের নেতাকর্মীরা মামলা থেকে ফ্রি হতে আগেভাগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন বলে দলীয় সূত্র জানায়।






Shares