Main Menu

পাঁচ পাঁচ বারের এমপি নাসিরনগরের ছায়েদুল হক, সততার জয়, ভালবাসার জয়

+100%-

dgfgd

সত্যিই সত্যকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আর স‍ৎ ভাবে থাকা খুবই কঠিন। আর এ পথে আপনার কাছে আপনি কাউকেই পাবেন না। বর্তমান সময়ে এর জলন্ত উদাহরণ নাসিরনগরের সাংসদ ও মন্ত্রী ছায়েদুল হক । তিনি তৈলবাজদের ভিড়তে দেননা, তিনি মাস্তান পালন করেন না এটা তার আরেকটা বড় অপরাধ। আমি তাকে খুব কম দেখেছি। সংবাদ কাভার করেছি খুবই কম। কারণ তিনি সেভাবে মিডিয়া কাভারেজ পচ্ছন্দও করেন না। যে দিন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত ধর্মীয় আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উত্থাপন করেন, সে আর সকলের মতই আমিও সে কথাটা বিশ্বাস করেছিলাম। মনে মনে বলেছিলাম কেন তিনি এটা বলতে গেলেন। তবে গত কয়েকদিন নাসিরনগরে সংবাদ কাভার করতে গিয়ে তার বক্তব্য শুনেছি। তাকে দেখেছি খুব কাছ থেকে। তার চোখে দেখেছি। ক্যামেরার চোখে দেখতে দেখতে মানুষের অভিব্যাক্তিগুলো কিছুটা ধরতে পারি। কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা সেটাও কিছুটা আন্দাজ করতে পারি। আমি বিনা সন্দেহে বলতে পারি, মন্ত্রী এ ধরনের কথা কাউকেই বলেন নি।

saidul-haqueকি আমাকে দালাল মনে হচ্ছে? হতে পারে। কিন্তু যে কথা গুলো আপনার অপ্রিয় লাগছে সে গুলোই সত্য। আর সত্য সব সময়ই তেতু হয়। আচ্ছা যান ধরে নিলাম মন্ত্রী আপত্তিকর শব্দ বলেছেন। বললেও সেটা হিন্দু নেতাদের বলেছেন আবদ্ধ ঘরে । বদ্ধ ঘরে অনেক কিছুই হয়। আমার মুসলমান বন্ধুর চেয়ে হিন্দু বন্ধু বেশি। আমি তাদের অনেককেই এই আপত্তিকর শব্দে ডাকি। আসলে বন্ধু মহলে অনেক কিছুই হয়। সেটা বাইরে যাবেনা সে বিশ্বাস করেই আমরা বন্ধুত্ব করি। এখন যদি মন্ত্রীও এমন আপন ভেবে শব্দটি প্রয়োগ করেই থাকে তা বাইরে যাওয়ার কথা নয়। যদি সেই লোকটি জাতীয় বেইমানের মত না হয়ে থাকে। এবার ধরে নিন সে জাতীয় বেইমান মোস্তাকের পথের পথিক। সে বলেই দিল তা তার নেতার কাছে। সেটা সারা দেশে ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা রানা দাশ গুপ্তের উচিত হয়েছে কি? আমার প্রশ্নে আপনার মনে পাল্টা প্রশ্ন জেগেছে কি? যে সংবাদ সম্মেলন করে সেটা না জানিয়ে রানাদাশ গুপ্তরা কি করতে পারতেন ? পথ তো অবশ্যই ছিল। তারা যদি আসলেই সৎ উদ্দেশ্য বিষয়টির সুরাহা চাইতেন তাহলে তারা তা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি বরাবর অভিযোগ দিতে পারত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেন এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। কিন্তু তারা তা না করে চিলে কান নিয়েছের মত করে দৌড়ানো শুরু করেছেন। এটাতে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় যে. কে কার কোন
উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের মিশনে নেমছিলেন। মিশনকে বাস্তবায়ন করতে কত কিছুই না তারা করেছে। সব কথা জানলেও লিখা যাচ্ছেনা। কারণ বিষয়টা তদন্তাধীন। আইনের প্রতি আমাদের সবারই শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।

আশা করি সেই শ্রদ্ধার ফল খুব তাড়াতাড়ি জনতা দেখতে পাবে। জয়তু মন্ত্রী ছায়েদুল হক। আমি রাজনীতি কখনো করিনি। তবে আপনাকে জানার পর সত্যই আমার রাজনীতি করতে বড় ইচ্ছে হয়। আজ একটা পরিসংখ্যান পেয়েছি নাসিরনগরের মাত্র তিন শতাংশ ভোটার সংখ্যালগু। এ যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে আর এটা বলার সুযোগ নাই যে আওয়ামীলীগকে ভালোবেসে সংখ্যালগুরা ভোট দিয়ে ছায়েদুল হক কে পাস করিয়েছে পাঁচ পাঁচ বার । এটাই বলতে হবে সততার জয়, ভালবাসার জয়।

মনিরুজ্জামান পলাশ
সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার ব্যবস্থায় নিয়োজিত শ্রমিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

ফোন : ০১৬৭১৩৯৪৬৬৬



(পরের সংবাদ) »



Shares