Main Menu

স্কুল কলেজ জাতীয়করণ চাই একসাথেই

+100%-

তাজুল ইসলাম (হানিফ):- প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন প্রাপ্ত ২৯৩ টি কলেজের মধ্যে ২৭৬টি কলেজকে জাতীয়করণের লক্ষ্যে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন রাজস্বখাতে স্থানান্তরের জন্য অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনাপত্তি প্রদান করেন। ইতিপূর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহপরিচালক উক্ত কলেজগুলোর আর্থিক সংশ্লেষ শিক্ষামন্ত্রনালয়কে স্বচিত্র প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করেন। যাহা আমরা পত্র-পত্রিকা পড়ে ও নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানতে পারি।
সর্বশেষ সংসদ অধীবেশনেও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় এ ব্যাপারটি নিশ্চত করেছেন এবং স্কুল কলেজ জাতীয়করনের কাজটি দ্রুতগতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন।

গত ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ একটি জাতীয় অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, চলতি ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আর কোনও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা উচ্চবিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য অর্থবরাদ্দ দেবে না অর্থমন্ত্রণালয়। এবং একসাথেই প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করনের জন্যে কাজ চলছে বলে জানা যায়। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে জাতীয়করণ করলে তদবির সামলানো সম্ভব হবে না। অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই জাতীয়করণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপ্রাপ্ত ও পরিদর্শনকৃত সব প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে “জাতীয়করণের গেজেট জারি” প্রকাশ হলেই ভালো হয়।
সুতরাং বলা যায়, খুব শীঘই, জি. ও (সরকারী আদেশ) জারির মাধ্যমে সরকার জানান দেবে যে আজ থেকে ২৭৬টি বেসরকারি কলেজকে সরকারীকরন করা হল এবং বাকীগুলো ও প্রক্রিয়াধীন।
জাতীয়করণের প্রক্রিয়াধীন থাকা এসব কলেজে এমপিওভুক্ত ১২ হাজার ৪৫৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বিপরীতে বছরে অতিরিক্ত খরচ হবে ৪শ ৫২ কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৬ টাকা। আর এমপিওবহির্ভূত শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৪ হাজার ৪৬৫ জন। এদের জন্য খরচ হবে ১৭৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮৬২ টাকা।

বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিগ্রী, অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকসহ স্কুল কলেজের সকল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীগণ জনবল কাঠামোর আওতায় আসছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই। এ খবর নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।

এ জাতি গভীর আগ্রহে অধীর অপেক্ষা করছে যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর দৃঢ় মনোবল ও দক্ষ্য নেতৃত্বে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরেই সকল উপজেলায় একটি করে কলেজ ও একটি করে স্কুল সরকারী ভাবে কার্যক্রম শুরু হবে। বাতিল হবে ২০১১ এর ১৩ ই নভেম্বরের এমপিও বন্ধের প্রজ্ঞাপণ।

পরিশেষে, শিক্ষক সমাজ ও ছাত্র সমাজ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, মাননীয় অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব মহোদয়, শিক্ষাসচিব মহোদয়, মাউশির মহাপরিচালক মহোদয় সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি থাকবে নিরন্তর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা।

লেখক :-
তাজুল ইসলাম (হানিফ)
বিএসএস(অনার্স),এমএসএস(রা.বি),এলএল.বি ।
শিক্ষক………সৈয়দাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয়(অনার্স কলেজ), কসবা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।






Shares