Main Menu

গৌরবময় ঐতিহ্যে নাওঘাট মোক্তার বাড়ি – মো. তারিকুল ইসলাম সেলিম

+100%-
গৌরবময় ঐতিহ্যে নাওঘাট মোক্তার বাড়ি। ত্রিপুরা (তদানিন্তন) জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুহকুমার আশুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী নাওঘাট গ্রামের প্রখ্যাত মোক্তার বাড়ি সকল মহলের কাছে সু-পরিচিত ও সম্মানীত । ব্রিটিশ পিরিয়ড থেকেই ভাটি বাংলার সংস্কৃতির রাজধানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য, সামাজিক, রাজনীতিক, শিক্ষা-সংস্কৃতি প্রভূতি বিকাশ ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে মোক্তার বাড়ির অসামান্য গৌরবময় অবদানের কথা অনেকেরই অজানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঙালী হিন্দু সমাজের চেয়ে পিছিয়ে থাকা বাঙালী মুসলিম সমাজকে শিক্ষা-দিক্ষায় অগ্রসরে নাওঘাট গ্রামের প্রখ্যাত মোক্তার বাড়ির অসামান্য অবদান রয়েছে। গরীব দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল মোক্তার বাড়ি সব সময় মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন।
এই বাড়ির ঐতিহ্যের সিঁড়িতে দাঁডিয়ে সমাজে যে কোন শ্রেণি-পেশার মানুষের বিপদে-আপদে সাহায্য সহযোগীতা তাদের সহজাত বৈশিষ্ট। কারো ক্ষতি নয়, সুযোগ থাকলে উপকার করার নীতি তাদের ব্যক্তি চরিত্রের অনন্য সাধারণ গুণ। সেই প্রাচীনকাল থেকেই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানবতার কল্যাণে সমাজের অসহায় দরিদ্র-নিপীড়িত, বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে । নাওঘাট গ্রামে তাদের একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান আবদুল হামিদ ভূঁইয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। একটি সমাজ-সেবার অঙ্গীকার নিয়ে বেশকয়টি গ্রামের চিকিৎসা অক্ষম ও বঞ্চিত মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে মানুষের পাশেই দাড়াঁয়নি, নাওঘাট গ্রামকে একটি স্বাস্থ্যকর, সুশিক্ষিত, প্রগতিশীল এবং দরিদ্রমুক্ত জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে । সাহায্য, সহযোগীতা ও দানশীলতায় সুজেলা-কামাল ফাউন্ডেশনের হিসাব নেহাতই কম নয়। নাওঘাট দারুল আকরাম (ইবতেদায়ী) মাদ্রাসা, নাওঘাট দক্ষিনপাড়া (মাগুড়া) হাফেজিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পশ্চিম মেড্ডা ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা, জমিদান ও অর্থায়ন করে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ বহন করছে সুজেলা-কামাল ফাউন্ডেশন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দান সহযোগীতা করা ছাড়াও প্রতি বছর একবারে অসহায় দরিদ্র পরিবারের খুঁজখবর নিয়ে ঘর তৈরি করে দিচ্ছে। গরীব ঘরের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে-সাদীতেও প্রতিষ্ঠানটির সহযোগীতা আছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকুরির সুযোগ দিয়ে অসংখ্য মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যও মোক্তার বাড়ির অতুলনীয় ভূমিকা সব সময় প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
কুঁড়ি শতকের প্রথম দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহাসিক মোক্তার ও প্রথিতযশা রাজনীতিক সর্বোজন শ্রদ্ধীয় মৌলভী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া মোক্তার বাড়ির গোড়াপত্তন করেন । মৌলভী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া উনিশো ছত্রিশ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা মুসলিম লীগের সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন এবং তাকে আমৃত্যু ওই গৌরবের আসনটি অধিষ্ঠিত করে রাখে। তিনি ব্রিটিশ বিরুধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন । পেশায় মোক্তার ও রাজনীতিক হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট। উনিশো ছয়ত্রিশ সালে কুঁড়লিয়া (এন্ডারসন) খাল খননে তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তাঁর প্রচেষ্টা, উদ্যোগ ও প্রেরণায় শহর ও গ্রামে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল গালর্স হাইস্কুল, তালশহর এ.এ.আই উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক-বধির বিদ্যালয়, ইন্ড্রাস্ট্রিয়েল স্কুল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠায় তাঁর শ্রম ও একগ্রতা সর্বজন-বিদিত।
সেকালে সুবিখ্যাত ব্যক্তি আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পেশায় মোক্তার হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বহু উকিল মোক্তারের চেয়েও অনেক বেশী খ্যাতিমান ছিলেন । ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে ছয় মাইল পশ্চিমে রেললাইন ঘেঁষা নাওঘাট গ্রামে তাঁর পৈতৃকবাড়ি ভূঁইয়া উপাধিপ্রাপ্ত ছিল । মৌলভী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়ার পূর্বপুরুষ খোদা বক্স নাওঘাট মধ্যপাড়া থেকে গিয়ে নাওঘাট গ্রামের দক্ষিন-পূর্ব দিকে মাগুড়া পাড়ার স্থান বিশেষে বনজঙ্গল পরিষ্কার করে বসতি ও চাষাবাদের পত্তন করেছিলেন। এজন্য স্থানীয় জমিদার রাজার কাছ থেকে ভূঁইয়া নামে অভিহিত হয়ে ঐসব জমি জমার স্বত্ব লাভ করেন। মূল সংস্কৃত শব্দ ভৌমিক > (প্রাকৃত) ভূমিকা > (বাংলা) ভূঁইয়া > থেকে ভূঁইয়া বা ভূঁঞা এসেছে। এই বংশ পদবীটি খোদ ভূমির মালিকানা অর্থ থেকে এসেছে। এজন্য এ ভূমির ভোগদখলকারীরা তাদের নামের পাশে ভূঁইয়া উপাধি যুক্ত করেন। সেই থেকে বংশের উপাধিও ভূঁইয়া নামেই পরিচিত হয়, কিন্তুু আব্দুল হামিদ ভূঁইয়ার পেশাগত সুখ্যাতির জন্য ভূঁইয়া বাড়ির আদলে মোক্তার বাড়ি নামেই পরিচয় সকল মহলের কাছে সমাদৃত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই বাড়ির পরিচিতি, নাম, যশ, খ্যাতি এতোই ছিল যে তৎকালীন সময় শহর ও গ্রাম যেখানেই মোক্তার বাড়ি কথা বলা হতো, যে কোন মানুষ সহসায় চিনতে পেরেছে । জনে, ধনে, মনে ও সুখ্যাতিতে মোক্তার বাড়ির লোকজন যুগে যুগে বহু সুনাম অর্জন করেন যা এখনো সাধারণ মানুষের কাছে বিদ্যমান।
উনিশো চল্লিশ সালে মৌলভী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভীপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য একটি বাড়িটি নির্মাণ করেন। এ বাড়িটিকে কেন্দ্র করে গ্রামের সর্বোস্তরের মানুষের সাথে শহরের একটি সেতুবন্ধন তৈরি হয়। গ্রাম থেকে আসা মানুষজন যাতায়তের সমস্যার কারনে এই বাড়িতে থাকা-খাওয়া করতেন। মানুষের থাকার জন্য পশ্চিম ভিটে একটি ঘর ছিল । মোহাম্মদ মাহ্ফুজউল্লাহ’র ‘কৈশোর কালের কথা ও সাহিত্যে-জীবনের সূচনা পর্ব’ বইয়ে মোক্তার বাড়ির সম্পর্কে লিখছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌলভীপাড়ায় আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া মোক্তারের বাসাই ছিল আমাদের প্রধান আকর্ষণ কেন্দ্র এবং বিশ্রামস্থল। আমার গ্রাম নাওঘাটের কেউ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গেলে, সাধারণতঃ সেখানেই তারা উঠতেন, বিরতি এবং বিশ্রাম নিতেন। আব্দুল হামিদ ভূইয়া ও তাঁর পরিবার-পরিজন শুধু নিজগ্রাম নাওঘাটের বাসিন্দা বা আত্মীয়-স্বজনকেই নয়, এলাকার যেকোন লোক সেখানে গেলেই তাদের আদর-আপ্যায়ন করতেন। তৎকালীন সময় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ম্যাট্রিক পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফলে গ্রাম থেকে বহু ছেলে-মেয়ে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোক্তার বাড়িতে উঠতেন। যতদিন পরীক্ষা চলত ততদিন এখানে থেকে এন্ট্রাস (এস.এস.সি) পরীক্ষা দিতেন।  সেকালে ইট সুরকি দিয়ে তৈরি নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী নিপূণ কারুকাজে খচিত একতলা বিশিষ্ট বাড়িটি ছিল স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য নির্দেশন। বাড়িটি নির্মাণকালে বাঙালী হিন্দু সমাজের দুই একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির দালান-কোঠা ছাড়া বাঙালী মুসলিম সমাজের কোন ব্যক্তির শহরজুড়ে তেমন কোন পাকা বাড়ি ছিল না । যতটুকু জানা যায়, মুহকুমা শহরে মাত্র চারটি বাড়িই দালান ছিল । একালের শহরের আভিজাত মর্যাদাপূর্ণ মহলা মৌলভীপাড়ায় তিনি যখন বাড়িটি তৈরি করেন তখনও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর গড়ে উঠেনি, পুরো একালাটিই গ্রাম ছিল। বাড়ির চারপাশের ছিল ফাঁকা ফাঁকা বাড়িঘর, ফসলি জমি, সবুজ প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য । আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া মৌলভীপাড়ার বাড়িতে বসবাস করতেন। এক সময় সামাজিক ও রাজনীতিক কর্মকান্ডে মুখরিত মোক্তার বাড়ি ব্রিটিশ বিরুধী আন্দোলনে সরব ভূমিকায় ছিল । মহকুমা বাঙালী মুসলিম সমাজের শিক্ষা-দিক্ষা বিস্তার ও অগ্রসর, রাজনীতিক ও সামাজিক নানা প্রেক্ষাপটের কারণে বাড়িটি আজও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আছে । মোক্তার বাড়িতে কতো বিখ্যাত মানু্ষের আনাগোনা ছিল তার কোন ইয়াত্তা নেই । নবাব খাজা নাজিমউদ্দিন, মাওলানা তমিজউদ্দিন থেকে শুরু করে অবিভক্ত ভারতের মুসলিম লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিক সফরে মহকুমা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসলে মৌলভীপাড়া মোক্তার ভবনে রাত্রি যাপন করতেন ।
কবি মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ্, কবি আল মাহমুদ, কবি সানাউল্লাহ নূরীর মতো বিখ্যাত মণীষীদের মোক্তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়ত ছিল। কবি আল মাহমুদ তাঁর ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’ গ্রন্থের ৯২ পৃষ্ঠায় লিখছেন একদিন কার কাছে যে শুনলাম আমাদের শহরে উদয়মান তরুন কবি মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ এসেছেন । তিনি মৌলভীপাড়ায় তাঁর এক আত্মীয়ের (মোক্তার) বাড়িতে উঠেছেন। তারিখ মনে নেই একদিন বিকেলে তাকে গিয়ে মৌলভীপাড়ায় বাড়িতেই পাওয়া গেল। আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ছিলেন কবি মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ’র আপন খালু। কবি ঢাকা থেকে এসে প্রায়ই মৌলভীপাড়ায় তাঁর খালুর বাসায় থাকতেন । মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া যখনই আসতেন কবি সানাউল্লাহ নূরী, কবি আল মাহমুদ সহ অনেক উদয়মান লেখক, কবি, সাহিত্যিকরা মোক্তার বাড়িতে সাহিত্যের আড্ডায়  মিলিত হতেন।
মোক্তার বাড়ি থেকে পাকিস্তান পিরিয়ডে আব্দুল ওয়াহেদ ভূঁইয়া আশুগঞ্জ সদর তৎকালীন আড়াইসিঁধা উত্তর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে এ ইউনিয়নে  বাংলাদেশ অধ্যায়ে প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে উনিশো তিয়াত্তর সাল পর্যন্ত তিনি গৌরবের আসনটিতে ছিলেন । ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা থেকে প্রথম নারী গেজুয়েট হন এই বংশের কন্যা শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবিকা বেগম সামসুন্নাহার । ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতার লেডি ব্রার্বোন কলেজ থেকে বি,এ এবং ১৯৪৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি, টি পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব ডিভিশন (বর্তমান জেলা)’র মধ্যে প্রথম উচ্চ শিক্ষিতা নারী এবং পরবর্তী একযুগ অর্থাৎ ১২ বছরের মধ্যে ব্রাহ্মবাড়িয়ায় অন্য কোন নারী বি,এ পাস করেননি । ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া একজন প্রকৌশলী। তিনি অসংখ্য মানুষকে রেলওয়েতে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকুরি দিয়েছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক পরবর্তীতে বাংলাদেশ যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসর গ্রহন করেন । অবসরের পর ১৯৯৬ সালে থেকে ২০০১ পর্যন্ত পাঁঁচ তিনি বঙ্গবন্ধু  (যুুুুমনা) সেতুর রেলওয়ে প্রকল্পের কনসালন্টেট টীমের প্রধান পরামর্শ হিসেবে কাজ করেন। মরহুম আতিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ছিলেন উত্তরা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এম,ডি) থাকা অবস্থায় পরলোক গমন করেন। পানি বিজ্ঞানী ড. সাদিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ার । তিনি ফিলিপাইনের ম্যানিলায় সায়েন্টিফিক কর্মকর্তা ছিলেন । আশরাফুন্নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন এবং ইংল্যান্ডে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন । এই বংশের আরেক কৃতিপুরুষ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. কামালউদ্দিন ভূঁইয়া, তিনি খুবই সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি পুরাতন ঢাকার মালিটোলা, বংশাল-এ ঐতিহ্যবাহী প্রখ্যাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে জামান-এর কর্ণধার। বহু বিখ্যাত ও ধনার্ঢ্য ব্যবসায়ী তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার ডা. অধ্যাপক আলী আফজাল ভূঁইয়া (কাওছার) , তিনি মাসে একদিন গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাঁর সুনামও বহুদূর প্রসারিত। শরীফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, তিনিও পুরাতন ঢাকার একজন সফল ব্যবসায়ী। মোক্তার বাড়ির গৌরবের উত্তরাধিকারী তারুণ্যের অহংকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, ডা. তৌফিক আতিক ভূঁইয়া, প্রকৌশলী সাবিনা রফিক -সহ প্রমুখগণ মোক্তার বাড়ির ঐতিহ্যের সিঁড়ি বেয়ে আপন কর্মে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
লেখক: লোক-সাহিত্যনুরাগী, রাজনীতিক কর্মী ও সংগঠক





Shares