Main Menu

স্টুয়ার্ট ল এর পত্নী বাংলাদেশে এসে বিরক্ত!

+100%-
বিয়ের পর স্টুয়ার্ট ইংল্যান্ডেই স্থায়ী হবার চেষ্টা করেছিলেন। ইংরেজ ভদ্রমহিলাকে নিয়ে স্থায়ী হবার চেষ্টা করলেও পরিবারকে সময় দিতে পারছিলেন না বলে কোন কিছুই ঠিকঠাক মত হচ্ছিল না। বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব থেকে অবসর নেয়ার পর নিজের শিকড় কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবানে বসতি গড়তে চান স্টুয়ার্ট।

সেখানে গিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার যেকোন পর্যায়ে ক্রিকেট কোচিংয়ের সাথে জড়িত থাকতে চান ৪৩ বছর বয়সি এই কোচ। দুই বছরের চুক্তির যাত্রায় বিরতি দিলেন মাত্র ন’মাসে। ব্যাক্তিগত কারনকে প্রাধান্য দিয়ে এত্ বড় সিদ্ধান্ত নিতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্টুয়ার্ট।

তিনি বলেন, “আমি আমার বিবৃতিতে বলেছি, সিদ্ধান্তটা কেবল ব্যাক্তিগত কারনেই নেয়া হয়েছে। অন্যকোন কারন নেই, এখানে কারো সাথে কোন ঝামেলা নেই। আশা করছি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আবার ক্রিকেট কোচিংয়ের সাথে জড়িত হব।”

তিনি জানান বাংলাদেশ ক্রিকেটবোর্ড তার  জন্য সবকিছুই স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলেছিলেন। যদিও স্টুয়ার্ট মুখে কিছুই বলেননি তবুও কয়েকমাস স্টুয়ার্টের পত্নী এবং পূত্রের ঢাকা সফরের সময় তিনি বুঝেছিলেন পরিবারের সাথে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমনকি তখনও স্টুয়ার্ট সময় দিতে পারেননি। বলতে গেলে গুলশানের এপার্টমেন্টে তারা আবদ্ধই ছিল। রাস্তার ট্রাফিক এবং ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম দেখে অবাক হওয়া ছাড়া তাদের কিছুই করার ছিল না।

পশ্চিমাদের জন্য এখানে অভ্যস্থ হওয়া বেশ কঠিন কাজ। একটি অনির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় যে তার পত্নী বাংলাদেশের উপর এতই বিরক্ত হয়েছেন যে তিনি আর কখনই বাংলাদেশে আসতে চান না।

সব মিলিয়ে স্টুয়ার্টকে শেষ পর্যন্ত একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হয়েছে। পরশু দুপুরে তাই সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে দেয়ার ঘোষনা দেন।

স্টুয়ার্ট বাংলাদেশকে এশিয়া কাপের ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্টুয়ার্টের হাত ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটর উত্থান ঘটতে যাচ্ছিল।






Shares