Main Menu

গ্যাস্ট্রিকের সমাধান কীভাবে করবেন

+100%-

গ্যাস্ট্রিক শব্দটির সঙ্গে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। পাকস্থলী, ডিওডেনাম ও ইসোফেগাস—এই তিনটির যেকোনো জায়গায় যদি অ্যাসিডের কারণে ক্ষত সৃষ্টি হয়, তাহলে এটাকে বলে পেপটিক আলসার ডিজিজ এবং যখন বলা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আছে, তখন বোঝা যাচ্ছে, তার পেপটিক আলসারও রয়েছে। এটা পাকস্থলী বা ডিওডেনামে হতে পারে। আর মানুষ সাধারণত পেটে গ্যাস হলে একে গ্যাস্ট্রিক বলে। আসলে গ্যাস হলেই গ্যাস্ট্রিক নয়।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক হলেই যে আলসার তা নয়। এটা হয় মূলত পেটে গ্যাস হলে। সাধারণত মানসিক চাপে থাকা লোকজনের বেশি হয়। বুক জ্বালাও সরাসরি গ্যাস্ট্রিকের বিষয় নয়। যদি এমন হয় যে খালি পেটে বুক জ্বলছে এবং সেটা খাওয়ার পর কমে যাচ্ছে, এটা গ্যাস্ট্রিক। তবে এমনিতে বুক জ্বলছে, গলা জ্বলছে—এটা গ্যাস্ট্রিক নাও হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকে জ্বালাপোড়া একটি লক্ষণ হতে পারে, এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খালি পেটে হবে এবং খেলে এটা চলে যাবে। সে ভাত খাক অথবা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাক, এটি চলে যাবে।

মূলত আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে ওষুধের পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে বেঁচে চলা সম্ভব। কারণ এ সময় পেটে গ্যাস ও পাতলা পায়খানাও হয়ে থাকে। যে নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে—

  • প্রথমত, পরিমিত মাংস খেতে হবে।
  • যাদের বয়স বেশি তাদের চর্বি জাতীয় মাংস খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত শুকনা মরিচের ঝাল দিয়ে মাংস রান্না করবেন না। কারণ শুকনা মরিচের ঝাল গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • পেট খালি না রাখা, আবার পেট ভরেও না খাওয়া।
  • প্রতিদিন একই সময়ে আহার করা।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকলে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
  • খাবার সব সময় ভালোমতো চিবিয়ে খেতে হবে।
  • যেকোনো প্রকার কোল্ড ড্রিংকস পরিহার করতে হবে।
  • খাবার খাওয়ার সময় টিভি না দেখা এবং কোনো প্রকার তর্ক-বিতর্কে না যাওয়া ভালো।
  • খাবার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে না পড়া। অন্তত খাবার এক ঘণ্টা পর শোয়া উচিত।
  • ধূমপানের অভ্যাস থাকলে, তা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
  • টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। কারণ মানসিক উৎকণ্ঠা, উত্তেজনা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেতে হবে।
  • ইসুবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে সকালে বা রাতে শোয়ার আগে খেতে পারেন। এতে বেশ উপকার পাবেন।
  • কিছুটা শুকনো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার এসিডিটি সমস্যা কমে যাবে। কারণ আদা এসিডিটি কমাতে বিশেষভাবে কাজে আসে।





Shares