Main Menu

গোলাম আযমের মৃত্যুতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া : মরোনত্তর বিচারের দাবী॥ নবীনগরে বিক্ষোভ

+100%-


একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে আজীবন কারাদ-প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম মারা গেছেন বৃহস্পতিবার রাতে। তার মৃত্যুতে জন্মভূমির মানুষ জানিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। পাশপাশি তার মরোনত্তর বিচারের দাবী এবং তার লাশ যেন এই জেলায় না আনা হয় সে দাবী জানিয়েছেন জানিয়েছে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। গোলাম আযমের লাশ নবীনগরে না আনার দাবীতে  উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসি। তবে গোলাম আজম এর গ্রামের বাড়ির লোকজনের দাবী তিনি লোক হিসাবে ভাল ছিল। ঢাকায় কবর দিতে না পারলে তার তার জন্মভুমিতে কবরের ব্যবস্থা করবেন তারা।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাও গ্রামে গোলাম আজম কোন উৎসব ছাড়া কখনো বাড়ীতে আসতেন না। গোলাম আজমের চাচা শফিকুল ইসলামও মুসলিমলীগের অবিভক্ত পাকিস্তানের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্বে চাচা বাতিজা দুই জনের ভুমিকাই ছিল রাস্ট্রদ্রোহী। তারা কেউই এখন বাড়িতে থাকেন না। তার গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে ২টি টিনসেড ঘর তালাবদ্ব পাওয়া যায়। তবে এলাকার কোন ক্ষতি না করায় গ্রামের অধিকাংশ লোকই প্রকাশ্যে তাদের বিরুদ্বে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্বে রাস্ট্র বিরোধী ভুমিকার জন্য তার জন্ম¯হান বীরগাও গ্রামবাসীও নিজেদেরকে কলংকিত মনে করছে। অন্যদিকে দুপুরে জেলার নবীনগর উপজেলা সদরে গোলাম আযমের লাশ না আনার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাসী।
এ বিষয়ে বীর গাও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, গোলাম আযমের মৃত্যুতে বীরগাও এলাকায় কোন প্রতিক্রিয়া নেই। উনি মারা গেছেন এখন আল্লাহ বলতে পারবের সে কেমন লোক ছিলেন।
বীরগাও ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মো. মালেক মাষ্টার জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে গোলাম আযমের  মরোনত্তর বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
তবে তার এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, তাকে যদি কোন কারণে ঢাকায় কবর দিতে দেওয়া না হয় তাহলে তার নিজের গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর জেলা কমান্ডার মো. হারুনুর রশিদ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে এমন রাজাকারের ঠাই নাই। গোলাম আযমের লাশ যাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় না আনা হয়।পাশাপাশি তার মরোনত্তর বিচারের দাবী জানান তিনি। তবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রধান রাজাকারের বাড়ি এ জেলায় হওয়ায় আমাদের প্রতিনিয়ত লজ্জায় পড়তে হয়।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares