Main Menu

শহরে পকেটমারদের দৌরাত্ম ॥ ঈদের পূর্বে জোরদার অভিযান প্রয়োজন

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রতিকালে পকেমারদের দৌরাত্ম বেড়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধ পকেট সাফাইকারী দল হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা পয়সা, মোবাইল, সহ বিভিন্ন জিনিষ। জন ব্যস্ততম স্থান সমুহে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে নানা ঘটনা। শহরের কোর্ট রোড, নিউ সিনেমা হল রোড , আনন্দ বাজার, জগৎবাজার, ফারুকী মার্কেট, রেল স্টেশন সহ বিভিন্ন স্থানেই প্রতিদিন কারো না কারো পকেট থেকে মালামল গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সংঘবদ্ধ এই চক্র শহরে ঘুরে বেড়ায়, সাধারণ মানুষ কোন কাজে ব্যস্ত হলেই তারা অপকর্ম সাধন করে নানা কৌশলে। মানুষের ভীড় তারা খুজে ফেরে।  ভীড়ের মধ্যে মিশে তারা পকেট থেকে সব হাতিয়ে নেয়। পকেটমার চক্রের সদস্যরা কুলখানী, নামাজে জানাজার মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে অপকর্ম চালাচ্ছে। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কুলখানীর অনুষ্ঠান এবং টেংকের পাড়ে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজার অনুষ্ঠান থেকে পকেট মাররা ৮ টি মোবাইল হাতিয়ে নেয়ার খবর পাওয় গেছে। পকেটমারের শিকার হয়েছেন রাজনীতিবিদ, আইনজীবি সাংবাদিক, চেম্বারের নেতা সহ বেশ কয়েকজন। কোন কিছু বুঝার আগেই তারা কৌশলে স্বার্থ সিদ্ধি করছে। বিভিন্ন তথ্যে জানা গেছে , এক শ্রেণীর উঠতি নেশা গ্রস্থ শিশু কিশোর যুবক দল বদ্ধ হয়ে শহরে ঘুরে বেড়ায়। তারা এই সব অপকর্মে জড়িত। কোর্ট রোড এলকার জনৈক ব্যবসায়ী জানান, হাতে নেশার টোঙ্গা হাতে ওরা ঘুরে বেড়ায়। সুযোগ পেলেই অপকর্ম করে। কেউ কেউ ধরা পড়ে। নেশাগ্রস্থ বলে সামান্য পিটুনী দিয়েই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কোর্ট রোড এলাকায় কিছু দিন পরপরই এমন ঘটনা ঘটছে। শহরের টেংকের পাড় এলাকায় একশ্রেনীর বখাটে দের অপতৎপরতা সব সময়ই। খোলা স্থান পেয়ে এখানে তারা অবস্থান নেয়। সুযোগ পেলেই ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম করছে তারা। একই অবস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন এলাকায় । যাত্রীরা ট্রেনে উঠার ব্যস্ততার মূহুর্তকে কাজে লাগায় অপরাধী চক্র। বাড়তি ঝামেলা এমন লজ্জাজনক মনে করে এসব ব্যাপারে কেউ মামলা মোকদ্দমা করে না। এদিকে আসছে ঈদুল আজহা । এই সময়ে পকেটমারদের কাছে মৌসুমী সময়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে সাম্প্রতিককালে যে সব ঘটনা ঘটছে তাতে ঈদুল আজহার কোরবানী হাট সহ ঈদের বাজারে তাদের অপকর্ম বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ অবস্থায় পকেটমার চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী উঠেছে। এ ছাড়া চোরাই মাল ক্রয়কারীদের ব্যাপারে পুলিশী তৎপরতা প্রত্যাশা করেছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।